পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

Railways Eviction Notice: চ্যাংড়াবান্ধা রেলস্টেশনের জমিদখল, মুক্ত করতে উচ্ছেদের নোটিশ রেলের

By

Published : Jul 31, 2022, 8:33 PM IST

চ্যাংড়াবান্ধা বাণিজ্য কেন্দ্রে রেলস্টেশনে জমিদখলমুক্ত করতে উচ্ছেদের নোটিশ রেলের, জমির খতিয়ান হাতে নিয়ে ভিটেমাটি ছাড়তে নারাজ বাসিন্দারা (Railways Eviction Notice) ৷

Railways Eviction Notice
রেলস্টেশনে জমিদখলমুক্ত করতে উচ্ছেদের নোটিশ রেলের

কোচবিহার, 31 জুলাই: কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা রেল স্টেশন ৷ বাণিজ্যকেন্দ্রিক এই রেলস্টেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে এদেশের যে কোনও প্রান্তের পণ্য আদান-প্রদান (Railways Eviction Notice) ৷ আবার বাংলাদেশের পণ্য ভারতের অন্যান্য জায়গায় সরবরাহের এই রেল স্টেশন থেকে ওয়াগন লোড-আনলোড হয় ৷ চ্যাংড়াবান্ধা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক প্রসারে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে এই রেল ৷ সূত্রে খবর, আরও বেশি বাণিজ্যিক পরিকাঠামো বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে রেলমন্ত্রক ৷

রেলের জমিতে বসবাস এবং দোকান ঘর-সহ ব্যক্তিগত ট্রাক পার্কিংয়ের জায়গা হিসাবে দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ ৷ রেল সূত্রে খবর, কোচবিহার জেলার চ্যাংড়াবান্ধা বৈদেশিক বাণিজ্যকেন্দ্র এলাকায় পরিকাঠামোগত উন্নয়ণের একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ । তার আগে জায়গা দখলমুক্ত করতে অভিযানে নামল রেল। চ্যাংড়াবান্ধা রেল স্টেশন চত্বর এলাকায় বহু মানুষ রেলের জায়গা দখল করে রেখেছেন । কেউ জায়গা দখল করে বসবাস করছেন, তো কেউ আবের দোকান বানিয়ে বসেছেন । কেউ আবার ট্রাক পার্কিং করে রাখছেন ।

আরও পড়ুন:কোচবিহারের চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে 8 দিন বন্ধ থাকবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য

রেলের তরফে এর আগেও রেলের জায়গা দখলমুক্ত করার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল । গত 26 শে জুলাই রেলকর্মীরা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় যান এবং আগামী 30 দিনের মধ্যে বাসিন্দাদের নির্মাণ সরিয়ে নিতে বলেন ৷ রেলের তরফে নোটিশ পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তাঁদের অনেকের নামে জমি রয়েছে ৷ দীর্ঘদিন ধরে তারা সেখানে বসবাস করছেন ৷ হঠাৎ সরে যেতে বলায় সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা । কোথায় যাবেন বুঝতে পারছেন না । অনেকের আবার দাবি, তাঁদের কাছে জমির কাগজপত্র রয়েছে । যদিও রেলের তরফে জানানো হয়েছে, রেলের জায়গা না-ছাড়লে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে ।

রেলস্টেশনে জমিদখলমুক্ত করতে উচ্ছেদের নোটিশ রেলের

ফতেমা বেওয়া, জিয়ারুল রহমানের মতো স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রেলের তরফে তাদের জমি ছাড়তে বলা হয়েছে, কিন্তু তাদের নামে জমি রয়েছে ৷ তারা বসতবাড়ি সরিয়ে কেন নেবেন, তারা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন ৷ তাঁদের দাবি, বংশ পরম্পরায় প্রায় একশো বছর ধরে তাদের বসবাস এখানে ৷ বাসিন্দাদের দাবি, তাদের জমি খতিয়ান রয়েছে, তারা সরবেন না ৷ তারা চান পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক ৷

আরও পড়ুন:খড়গপুর রেল লাইনে ধস আর তাতেই বিপত্তি

যদিও এই প্রসঙ্গে রেলের আলিপুরদুয়ার বিভাগের ডিআরএম দিলীপ কুমার সিং জানিয়েছেন, চ্যাংড়াবান্ধা রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বেশ কিছু উন্নয়ণমূলক কাজের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে রেলের রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে রেলের জায়গা দখল করে রয়েছেন তাদেরকে সরিয়ে যেতে বলা হয়েছে ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details