কোচবিহার, 1 মে : শ্রমিক সংগঠনের সভা থেকে ফের একবার দলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়কে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ (rabindranath ghosh slams Cooch Behar district tmc president parthapratim roy ) । রবিবার কোচবিহার সুকান্ত মঞ্চে মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আইএনটিটিইউসি-র শ্রমিক কনভেনশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন নাম না করে পার্থপ্রতিম রায়ের উদ্দেশে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, "প্রথমে আমাকে ল্যাং মারা হয়েছে । তারপর মিহির গোস্বামীকে ল্যাং মেরে দল থেকে বের করে দিয়েছে । এরপর বিনয় কৃষ্ণ বর্মণের কাঁধে চেপে বসেছিল । শেষ পর্যন্ত তাঁকেও ল্যাং মেরে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে নিজেই সে আসনে বসেছে ৷ এরপর গিরীন্দ্রনাথ বর্মন শিক্ষিত মানুষ, সরল সাদাসিধে, তিনি জেলা সভাপতি হয়ে কলকাতায় মিটিংয়ে গেলেন ৷ সেখানে ঘোষণা করা হল গিরিনবাবু চেয়ারম্যানই থাকছেন । এই কথার এখনও মর্মার্থ বুঝে উঠতে পারিনি । তিনি আবার অবতার হয়ে আসনে বসেছেন ।"
আরও পড়ুন :Cooch Behar TMC News : বিরোধ মেটার লক্ষণ নেই ; পার্থকে বিষধর সাপের সঙ্গে তুলনা রবীন্দ্রনাথের
রবীন্দ্রনাথ ঘোষের এই বক্তব্যে জোর আলোড়ন পড়েছে শাসকদলের অন্দরে (TMC Inner Clash in Cooch Behar) । যদিও এ প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, "যা বলার দল বলবে"। উল্লেখ্য, একদা জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় ও তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের মধ্যে সু-সম্পর্ক থাকলেও ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে এই দুই নেতার মধ্যে বিরোধ এখন চরমে ।
শ্রমিক দিবসের অনুষ্ঠান থেকে যা বললেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ গত শুক্রবার নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের নাককাটি গাছে দলের শ্রমিক সংগঠনের একটি সভায় জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, "2016 সালে লোকসভা উপনির্বাচনের সময় ওর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সুপারিশ করে ভুল করেছিলাম । যার খেসারত আজ দলকে দিতে হচ্ছে, তৃণমূলের প্রতিটি কর্মীকে দিতে হচ্ছে । গোখরো সাপের সঙ্গে সংসার করা যায় কিন্তু যার নাম সুপারিশ করেছিলাম তার সঙ্গে সংসার করা যায় না ।" সেদিনের পর রবিবার শ্রমিক সংগঠনের সভায় ফের একবার পার্থপ্রতিম রায়কে আক্রমণ করায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে শাসকদলের অন্দরে ।
আরও পড়ুন :TMC Coochbehar Core Committee : কোচবিহার তৃণমূল কোর কমিটি তালিকা প্রকাশ, নাম নেই রবীন্দ্রনাথ ঘোষের