কোচবিহার, 25 জুলাই : দই ফুচকা । ফুচকা চাট । জল ফুচকা । আরও কত কী ! নামগুলি শুনলেই যেন জিভে জল আসে । কিন্তু লকডাউনের শুরু থেকেই বন্ধ ফুচকা বিক্রি । আর এর জেরেই বিপাকে পড়েছেন কোচবিহার জেলার পাঁচ মহকুমার অন্তত হাজার দু'য়েক ফুচকা বিক্রেতা । ব্যবসা বন্ধ থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা । তাঁদের বক্তব্য রেশনের মাধ্যমে চাল, ডাল কিংবা আটা দিলেও তাতে সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে । তাই তাঁদের বিষয়ে বিবেচনা করুক সরকার ।
কোচবিহার জেলার পাঁচটি মহকুমা মিলিয়ে অন্তত হাজার দুয়েক ফুচকা বিক্রেতা রয়েছেন । দুপুরের পর থেকেই বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের সামনে, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে, পার্কের সামনে ফুচকা নিয়ে হাজির হন তাঁরা । সাধারণ জল ফুচকার পাশাপাশি দই ফুচকা, চাটনি ফুচকা । আরও না জানি কত রকমারি ফুচকা । দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত চলত ব্যবসা । কিন্তু এখন কোরোনার জেরে ব্যবসা শিকেয় উঠেছে ।
কোচবিহার শহরের দেবীবাড়ি লিচুতলা এলাকায় রয়েছে প্রায় 50 টি পরিবারের বসবাস । হিন্দিভাষী এই পরিবারগুলি কয়েকপুরুষ ধরেই ফুচকা বিক্রি করে আসছে কোচবিহার শহরে । কিন্তু গত মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে বন্ধ ফুচকার বিক্রি । লকডাউন শুরু হতেই মাথায় হাত ফুচকা বিক্রেতাদের । কয়েকপুরুষ ধরে চলা তাঁদের এই ফুচকার ব্যবসা আজ সংকটের মুখে । ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ফুচকা বিক্রেতারা ।
রেশনের মাধ্যমে চাল, ডাল, আটা মিলছে ঠিকই । কিন্তু তাতে কি আর সংসার চলে । মাস তিনেক ব্যবসা বন্ধ থাকার পর আংশিক শিথিল হয় লকডাউন । একটু আশার আলো দেখেছিল ওরা তখন । ফুচকার গাড়ি নিয়ে আগে যে যেখানে বসতেন, তেমনই গিয়ে বসতে শুরু করেছিলেন । কিন্তু সংক্রমণের ভয়ে ফুচকা খেতে আসতে সাহস করেননি কেউই । ছিল পুলিশি কড়াকড়িও । পসরা সাজিয়ে বসলেও কোনও লাভের মুখ দেখতে পাননি তাঁরা । অধিকাংশ ফুচকা বিক্রেতার ঘরে পড়ে রয়েছে দেড় দু'হাজার ফুচকা ।