কোচবিহার, 15 মার্চ : দীর্ঘদিন পর ‘কাকা-ভাইপো’র কথা হল কোচবিহারে । মঙ্গলবার কোচবিহারের তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় কাকা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বাড়িতে হাজির হন (Partha Pratim Roy Goes to Meet with Rabindranath Ghosh in Coochbehar) ৷ ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি, রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে প্রণামও করেন জেলা তৃণমুল সভাপতি ৷ দু’জনের মধ্যে কুশল বিনিময় হয় ৷ আর এতেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, তবে কি কোচবিহারে শাসকদলের নতুন সমীকরণ দেখা যাবে ? কোচবিহারে কি এবার কাকা-ভাইপোর বিরোধ মিটতে চলেছে ?
তৃণমূল সূত্রে খবর, রবীন্দ্রনাথ ঘোষের হাত ধরেই পার্থপ্রতিম রায়ের রাজনীতিতে প্রবেশ ৷ পরবর্তীতে পার্থপ্রতিম রায় সাংসদ হন ৷ এর পর কোচবিহারে তৃণমূলের ক্ষমতা কার হাতে থাকবে, এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয় ৷ 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল তৎকালীন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়কে প্রার্থী না করে, পরেশচন্দ্র অধিকারীকে প্রার্থী করে তৃণমূল ৷ রাজনৈতিক মহলের মতে, পার্থপ্রতিম রায়কে প্রার্থী না করার পিছনে তৎকালীন জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের হাত ছিল ৷ এর পর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী পরেশচন্দ্র অধিকারী পরাজিত হয় ৷ জেলা সভাপতির পদ থেকে অপসারণ করা হয়, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে ৷ জেলা সভাপতি করা হয় পার্থপ্রতিম রায়কে ৷
এর পর গত বিধানসভা নির্বাচনে শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয় পার্থপ্রতিম রায়কে ৷ যেখানে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের প্রভাব রয়েছে ৷ অপরদিকে নাটাবাড়িতে প্রার্থী করা হয় রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে ৷ এখানে পার্থপ্রতিম রায়ের বাড়ি ৷ সূত্রের খবর, দুই নেতাই চেষ্টা করছিলেন নির্বাচনে একে অপরকে হারাতে ৷ বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরলে দেখা যায় পার্থপ্রতিম রায় এবং রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দু‘জনই হেরেছেন ৷