কোচবিহার, 2 ডিসেম্বর: হাইকোর্টের নির্দেশে মন্ত্রী পরেশ চন্দ্র অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার ভুয়ো চাকরি বাতিল করে মেখলিগঞ্জ শহরে মন্ত্রীর বাড়ির পাশের ইন্দিরা গার্লস স্কুলেই অঙ্কিতার জায়গায় চাকরি দেওয়া হয় ববিতা সরকারকে । হাইকোর্টের নির্দেশেই পরেশ কন্যা চাকরি থেকে বরখাস্ত হন, ফেরত দিতে হয় বেতনেও । ববিতা সরকার বিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ার পর প্রথম প্রথম সব ঠিক থাকলেও তাঁকে মেখলিগঞ্জ শহরে বাড়ি ভাড়া দিতে রাজি হচ্ছিলেন না অনেকেই(No one is giving House Rent to Babita Sarkar who proved the fake job of ministers daughter)। যদিও শেষমেশ একটি ভাড়া বাড়ি মেলে, তাও সাতদিনের মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন মালিক ।
তবে বর্তমানে ববিতার অভিযোগ,"শিলিগুড়ি থেকে প্রতিদিন মেখলিগঞ্জের স্কুলে আসতে অনেক সমস্যা হচ্ছে । সেই জন্য বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলাম । কিন্তু অজানা কারণে সাতদিনের মধ্যে আমাকে বাড়ি ছাড়তে বলা হয়েছে । আবার নতুন বাড়ি ঠিক করতে গিয়েও পাচ্ছি না । কয়েকটি বাড়ি ভাড়া ঠিক করলেও পরবর্তীতে হঠাৎ না করে দিচ্ছে । কারণ হিসেবে বলছেন তাঁদের উপর চাপ আসছে ।"
কারা চাপ দিচ্ছে প্রশ্ন করলে ববিতার বক্তব্য, "বাড়ির মালিককে বিভিন্নভাবে হয়রানি থেকে শুরু করে সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে দেওয়ার ভয় দেখানো হচ্ছে ৷ তবে কারা এই কাজ করছে তা বাড়ির মালিকরা কেউই প্রকাশ করছেন না ।"
আরও পড়ুন :আইনি লড়াই জিতে পছন্দের স্কুলে শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দিলেন ববিতা
এই পরিস্থিতিতে কীভাবে মেখলিগঞ্জে থাকবেন তা নিয়ে চিন্তিত ববিতা । তাঁর কথায়, "অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর আজ একটি বাড়ির মালিক থাকতে দেবেন আশ্বাস দিয়েছেন । যদিও পরবর্তীতে তাঁর কাছেও চাপ আসবে কি না জানি না । তাই আমি আমার আইনজীবীকে বিষয়টা জানিয়েছি । সমস্যা না মিটলে বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব ৷"
বাড়ি ভাড়া না পাওয়া নিয়ে ববিতা ও শাসক-বিরোধীর বক্তব্য এই বিষয়ে বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সাধারণ সম্পাদক দধিরাম রায় বলেন,"ববিতা সরকারের লড়াইয়ে রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি সামনে এসেছে । অনেক নেতা মন্ত্রী জেলে গিয়েছেন আবার কেউ কেউ সিবিআই-ইডির দফতরে দৌড়াদৌড়ি করছেন । তাই শাসকদলের নেতা কর্মীদের রোষের মুখ পড়তে হচ্ছে ববিতাকে ।" যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের মেখলিগঞ্জ ব্লক সহ সভাপতি আনারুল মহম্মদ । তাঁর বক্তব্য, "এটা তাদের দলের লোক করছে নাকি ব্যক্তিগতভাবে কেউ করছে তা জানা দরকার । ববিতা আইনি লড়াইয়ে এই চাকরি পেয়েছে । আমরা হাইকোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দিই । হয়রানি করার কোনও বিষয় নেই । ববিতা চাইলে আমি ওনাকে সাহায্য করব বাড়ি খুঁজে দিতে ৷ চাইলে উনি আমার বাড়িতেও থাকতে পারেন ৷"
আরও পড়ুন :30 জুনের মধ্যে অঙ্কিতার পদে ববিতাকে নিয়োগের নির্দেশ, দিতে হবে অঙ্কিতার বেতনের ফেরতের টাকাও