বিএসএফের কাজে খুশি কেন্দ্র কোচবিহার, 5 ফেব্রুয়ারি: বিএসএফ জওয়ানরা যেভাবে দেশের সীমান্তগুলি সুরক্ষা রাখতে 24 ঘণ্টা নজরদারি ও প্রয়োজনে অভিযান চালাচ্ছেন, তাতে খুশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তথা কেন্দ্রীয় সরকার ৷ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা জানালেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী তথা কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik on BSF) ৷
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে গরুপাচার করতে গিয়ে বাহিনীর জওয়ানদের গুলিতে আহত হন এক ব্যক্তি ৷ ঘটনাটি ঘটে কোচবিহারের তুফানগঞ্জ-1 ব্লকের মধ্য বালাভূত এলাকায় ৷ পাচারে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম সইদুল ইসলাম ৷ 45 বছরের সইদুল অসমের ধুবড়ি জেলার বাসিন্দা ৷ বিএসএফ জওয়ানরাই তাঁকে উদ্ধার করে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন ৷ আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন সইদুল ৷ তাঁর কাছ থেকে তিনটি গরু উদ্ধার করা হয়েছে ৷ এই নিয়ে গত এক সপ্তাহে কোচবিহার জেলার অন্তর্গত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এমন দু'টি ঘটনা ঘটল ৷
আরও পড়ুন:বিএসএফ-এর গুলিতে জখম বাংলাদেশি গরুপাচারকারী গ্রেফতার
এদিকে, কোচবিহারে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন নিশীথ প্রামাণিক ৷ সেখানে তাঁকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয় ৷ জবাবে নিশীথ বলেন, "বিএসএফ জওয়ানরা নিজেদের ঘর, পরিবার, সংসার কার্যত ত্যাগ করে নিজের জীবন দেশের নিরাপত্তায় উৎসর্গ করেছেন ৷ তাঁরা যেভাবে কাজ করছেন, তাতে আমরা খুশি ৷ কেউ যদি পাচার করেন, চোরাচালান করেন, তাঁর সঙ্গে তো ভালো ব্যবহার করা সম্ভব নয় ৷ দেশকে সুরক্ষিত রাখতে যা করার, বিএসএফ জওয়ানরা সেটাই করছেন ৷"
উল্লেখ্য, কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ থেকে হলদিবাড়ি পর্যন্ত প্রায় 450 কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ৷ দীর্ঘ এই সীমান্তের অধিকাংশ এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া থাকলেও কিছু জায়গায় নদীর অবস্থান এবং কয়েকটি ক্ষেত্রে অন্য়ান্য সমস্য়ার জন্য কাঁটাতারের বেড়া লাগানো সম্ভব হয়নি ৷ অভিযোগ, এইসব অসুরক্ষিত এলাকা দিয়েই গরু, মাদক, সোনা, নিষিদ্ধ কাশির ওষুধ-সহ নানা ধরনের সামগ্রী পাচার করা হয় ৷ ঘটে অনুপ্রবেশের মতো ঘটনাও ৷ সূত্রের খবর, এক-একটি গরু পাচারের জন্য পাচারকারীরা 5 হাজার টাকা পায় ! গ্রামের গরিব মানুষের কাছে এই টাকা অনেক ৷ ফলে পাচার একেবারে বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল ৷ এই প্রেক্ষাপটে বিএসএফের নজরদারি জোরদার করা ছাড়া উপায় নেই প্রশাসনের ৷