কোচবিহার, 17 মার্চ: রবিতেই আস্থা রাখলেন মমতা। বৃহস্পতিবার কোচবিহার পৌরসভার বোর্ড গঠনে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলেন প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ (New Chairman Of Cooch Behar Municipality)। ভাইস চেয়ারপার্সন হলেন আমিনা আহমেদ।
জানা গিয়েছে, তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। 1996, 2001 ও 2006 সালে নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। প্রতিবারই হেরেছেন। পরবর্তীতে 2011 সালের বিধানসভা নির্বাচনে নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রথমবারের জন্য জিতে বিধায়ক হন। প্রথমে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান পদের দায়িত্ব পান। পরবর্তীতে সেই পদ থেকে সরিয়ে রাজ্য বন উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। এরপর 2016 সালে জিতে রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী হন। ইতিমধ্যে জেলা তৃণমূলে ব্যাপক কোন্দল দেখা দেয়।
আরও পড়ুন :Bengal Civic Polls 2022 : কোচবিহার পৌরসভার 2 নম্বর ওয়ার্ডে মা' র বিরুদ্ধে প্রার্থী ছেলে !
2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফল হওয়ায় জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। এরপর 2021 সালে বিধানসভা নির্বাচনে নাটাবাড়ি কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং পরাজিত হন। অনেকেই ভেবেছিলেন যে প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের রাজনৈতিক জীবন হয়তো শেষ। কিন্তু এবারে পুরসভা নির্বাচনের আগে নাটাবাড়ি থেকে ভোটার লিস্টে নাম কাটিয়ে কোচবিহার শহরে নাম তোলেন তিনি। এরপর 8 নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী করে প্রাক্তন মন্ত্রীকে। দীর্ঘদিন বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও এই প্রথমবার শহরের ভোটে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন এবং জয়ী হন। আর এরপরই জল্পনা দেখা দেয় যে, এবার রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হবে।
চেয়ারম্যান হিসাবে শপথ নেওয়ার পর রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞ যে, আমাকে এই গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শহরের 100 শতাংশ বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহ করা, উন্নত নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তোলা-সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের পরিকল্পনা নেওয়া হবে।"