কোচবিহার, 26 জানুয়ারি: "দুয়ারে সরকার" প্রকল্পের মাধ্যমে গত এক মাসে জেলায় লক্ষাধিক বাসিন্দাকে জাতিগত শংসাপত্র বিলি করা হয়েছে। গোটা জেলায় যেখানে বছরে কুড়ি হাজারের বেশি জাতিগত শংসাপত্র প্রদান করা সম্ভব হয় না, সেখানে এক মাসের মধ্যে ''দুয়ারে সরকার" কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এই বিরাট সংখ্যক শংসাপত্র বিলি করায় উচ্ছ্বসিত শাসক দলের নেতা মন্ত্রীরা। তাঁদের বক্তব্য, জাতিগত শংসাপত্র পাওয়ার ফলে বাসিন্দারা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আগে জাতিগত শংসাপত্র পেতে অনেকটা সময় লেগে যেত। এতে বাসিন্দাদের হয়রানির শিকার হতে হত। কিন্তু রাজ্য সরকার দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে জাতিগত শংসাপত্র বিলি শুরু করেছে। কোচবিহার জেলায় সর্বাধিক জাতিগত শংসাপত্র বিলি করা হয়েছে মাথাভাঙা মহকুমায়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় তপশিলি জাতি শংসাপত্র 88 হাজার 598জনকে দেওয়া হয়েছে। তপশিলি উপজাতি শংসাপত্র 406 জন পেয়েছেন। ওবিসি(এ) শংসাপত্র 9 হাজার 363 জন এবং ওবিসি(বি) শংসাপত্র পেয়েছেন 4099 জন।
এক মাসে লক্ষাধিক জাতিগত সংশাপত্র বিলি কোচবিহারে, সৌজন্যে 'দুয়ারে সরকার'
কোচবিহারে দুয়ারে সরকার কর্মসুচির মাধ্যমে এক মাসে লক্ষাধিক বাসিন্দাকে জাতিগত শংসাপত্র বিলি করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই খুশি জেলার মানুষ। এর ফলে মানুষ বিশেষভাবে উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
আরও পড়ুন: দিদির ইচ্ছে পূরণ করব, যা দুর্নীতি করেছেন অনেকেই জেলে যাবেন : দিলীপ
সবচেয়ে বেশি শংসাপত্র পেয়েছেন মাথাভাঙা মহাকুমার বাসিন্দারা।মাথাভাঙা মহকুমার 42 হাজার 793 জন শংসাপত্র পেয়েছেন। মেখলিগঞ্জ মহকুমার 24 হাজার, তুফানগঞ্জ মহকুমার 14 হাজার, কোচবিহার সদর মহকুমার 12 হাজার এবং দিনহাটা মহকুমার প্রায় 10 হাজার আবেদনকারীকে জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মধ্য দিয়ে লক্ষাধিক মানুষ জাতিগত শংসাপত্র পেয়েছে। এতে মানুষের অনেকটা উপকার হবে।