কোচবিহার , 26 নভেম্বর : তৃণমূল ছাড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী । বৃহস্পতিবার সন্ধে সাড়ে পাঁচটা নাগাদ সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এই ইচ্ছাপ্রকাশ করেন তিনি ।
চলতি বছরের অক্টোবরের শুরুতে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা কমিটি প্রকাশের পর থেকেই জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করে দলের সমস্ত সাংগঠনিক পদ থেকে ইস্তফা দেন কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী । পরে গত দেড় মাসে কখনও তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কখনও রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নানাভাবে ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন । ক্ষোভ প্রশমনে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ থেকে একাধিক জেলা নেতা মিহিরবাবুর বাড়ি গেলেও তাঁর মান ভাঙাতে পারেননি । অবশেষে বৃহস্পতিবার সন্ধে সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তিনি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে তৃণমূল ছাড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন । সোশাল মিডিয়ার পোস্টে তিনি দল সম্পর্কে ক্ষোভ উগড়ে দেন ।
লেখেন "গত 3 অক্টোবর 2020-তে তৃণমূল কংগ্রেসের যাবতীয় সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে এও জানিয়েছিলাম, দলনেত্রীর নির্দেশ পেলে আমি বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দিতে পারি । তারপর প্রায় দু'মাস হতে চলল আমি যেমন নিজের বিবেকের সঙ্গে ও নিজের যুক্তিবোধের সঙ্গে চিন্তন-মন্থন করেছি তেমনই আমার ভাবনাকে মানুষের সঙ্গে সোশাল মিডিয়ায় নিয়মিত শেয়ার করেছি । যে সব মানুষ আমার ভাবনাকে যুক্তিযুক্ত ভেবে স্বাগত জানিয়েছে তাঁদের উদ্দেশে আবার বলি , গত দশ বছর যে তৃণমূল দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে দলের মধ্যে বারবার অবহেলিত ও অপমানিত হয়েছি, দলের রাজ্য নেতৃত্ব তাতে নীরব ও প্রচ্ছন্ন মদত জুগিয়ে গিয়েছে, দলনেত্রীকে সেসব কথা বারংবার জানিয়েও পরিস্থিতির ইতরবিশেষ হয়নি । আজ সব সহ্যের সীমা অতিক্রম করার সময় অনুভব করেছি , বাইশ বছর আগে যে দলটির সঙ্গে যোগ দিয়েছিলাম , আজ তৃণমূল সেই দল নয় । এই দলে আমার জায়গা নেই । তাই আজ এই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আমার যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাই। আমি আশা করছি, আমার দীর্ঘদিনের সাথী বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীরা আমাকে মার্জনা করবেন । "
যদিও বিষয়টি নিয়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ।
