কোচবিহার, 20 অক্টোবর:পরকীয়া সম্পর্কের (Extramarital affair) জেরে যুবককে নৃশংস ভাবে খুন (Man killed) করার অভিযোগ উঠল । কোচবিহারের (Cooch Behar news) মাথাভাঙা-2 ব্লকের কুশিয়ারবাড়ি এলাকার ঘটনা । মৃত যুবকের নাম দুলাল বর্মন (40)।
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে দময়ন্তী বর্মন নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার (Woman arrested) করেছে ঘোকসাডাঙা থানার পুলিশ । বৃহস্পতিবার ধৃত মাহিলাকে মাথাভাঙা মহকুমা আদালতে তোলা হয় । পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের কারণ এবং এই ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত আছে কি না তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে ।
ঠিক কী কারণে খুন ? উঠছে একাধিক প্রশ্ন । প্রাথমিক পর্যায়ে পাওয়া তথ্যে উঠে আসছে বেশ কিছু বিষয় । মৃত যুবক দুলাল বর্মন গাড়ি চালাতেন । জানা গিয়েছে, ওই এলাকার বাসিন্দা বিবাহিত মহিলা দময়ন্তী বর্মনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন দুলাল । দুই বছর আগে দময়ন্তী ভিনরাজ্যে চলে যান । কিছুদিন আগে আবার তিনি এলাকায় ফিরে আসেন এবং নিজের বাড়ির পাশে জাতীয় সড়কের ধারে একটি হোটেল খোলেন ।
সূত্রের তরফে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরে তিনি দুলালের সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দিয়েছিলেন । তাঁদের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে । দুজনের ঝগড়াও হতো বলে জনিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা । গত মঙ্গলবার দুলাল তাঁর বাবা কেশব বর্মনের জন্য ওষুধ আনতে কোচবিহারে গিয়েছিলেন । সেখান থেকে বাড়িতে এসে রাতের খাবারও খান তিনি । এরপর রাত এগারোটা নাগাদ দময়ন্তী দুলালকে ডেকে নিয়ে যান বাড়ির বাইরে । এমনটা জানিয়েছেন দুলালের মা সারদা বর্মন । তাঁর অভিযোগ, "বাড়ির বাইরে ডেকে নিয়ে গিয়ে লোকজন দিয়ে আমার ছেলেকে খুন করেছে । দময়ন্তী-সহ খুনিদের কঠোর শাস্তির দাবি করছি ।"
আরও পড়ুন:লিভ ইন পার্টনারের সঙ্গে বচসা, তরুণীকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার চেষ্টা !
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘোকসাডাঙা থানার কুশিয়ারবাড়ি এলাকায় জাতীয় সড়কের ধার থেকে রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে সেখানকার টহলদারি পুলিশ । মৃত ব্যক্তিই দুলাল বর্মন । তাঁর মাথার পিছনে গভীর ক্ষত ছিল । পুলিশ খুনের ঘটনা হিসেবেই তদন্ত শুরু করে । তদন্তের জন্য কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর দময়ন্তী বর্মনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ।
বৃহস্পতিবার মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা জানিয়েছেন, কুশিয়ারবাড়ির দুলাল বর্মন খুনের ঘটনায় পরিবারের লোকজন একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন । অভিযোগের ভিত্তিতে দময়ন্তী বর্মন নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে । আজ তাঁকে মহকুমা আদালতে তুলে সাতদিনের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয় । জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের কারণ জানার চেষ্টা করা হচ্ছে । পরকীয়া সম্পর্কের জেরেই খুন বলে সন্দেহ স্থানীয়দের ৷