কোচবিহার, 14 জুন : কেরালায় পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন ৷ সম্প্রতি বাড়ি ফিরেছিলেন ৷ তাই থাকতে হত হোম কোয়ারানটিনে ৷ সেজন্য শ্বশুরবাড়িতে আশ্রয় নিতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধার মুখে পড়লেন জামাই । শনিবার বিকেলে কোচবিহারের তুফানগঞ্জে ঘটনাটি ঘটেছে । তাই বৃষ্টির মধ্যেও দিনভর নাকাল হতে হল কেরালা ফেরত শ্রমিক জামাইকে । যদিও পরে স্বাস্থ্যবিভাগের হস্তক্ষেপে অন্যত্র আশ্রয় পান তিনি ।
প্রশাসন সূত্রে খবর, চিলাখানা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা খুশি মোহন পাল ৷ কেরালায় শ্রমিকের কাজ করতেন । লকডাউনে কাজ বন্ধ হয়ে যায় ৷ তাই তিনি প্রথমে ট্রেনে কলকাতায় ফেরেন । সেখান থেকে সরকারি বাসে নিজের বাড়িতে পৌঁছান ।
এরপর স্বাস্থ্যবিভাগ তাঁকে হোম কোয়ারানটিনে থাকার নির্দেশ দেয় । কিন্তু তাঁর বাড়িতে একটি মাত্র ঘর । তাই তুফানগঞ্জের অন্দরন ফুলবাড়ির সুভাষপল্লি এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে যান হোম কোয়ারানটিনে থাকার জন্য । সেখানে একাধিক ঘর থাকায় আলাদা করেই থাকতে দেওয়া হয় জামাইকে । কিন্তু প্রতিবেশীরা পুরো বিষয়টি জানতে পেরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ৷
তাদের দাবি ছিল এই সময় শ্রমিক জামাইকে আশ্রয় দেওয়া যাবে না । এই নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় ওই এলাকায় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যান ব্লক প্রশাসনের কর্তারা । এরপর ওই ব্যক্তিকে অন্য কোয়ারানটিন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয় । পরিযায়ী শ্রমিক খুশি মোহন পাল বলেন, ‘‘বাড়িতে ঘর না থাকায় ও শ্বশুরবাড়িতে একাধিক ঘর থাকায় এখানে থাকতে এসেছিলাম । কিন্তু থাকতে দিল না ।’’ যদিও বাসিন্দাদের দাবি পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে । তাই ওনাকে থাকতে দেওয়া হয়নি।