কোচবিহার, 2 ডিসেম্বর : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ সফরে কোচবিহারের আসতে পারেন । সেইমতো তার আগে মঙ্গলবার মেখলিগঞ্জে তিস্তা নদীর উপর নির্মীয়মাণ জয়ী সেতু ও সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন করল প্রশাসনের একটি প্রতিনিধি দল । সেই প্রতিনিধি দলে কোচবিহারের অতিরিক্ত জেলাশাসক লক্ষ্মী বি তন্নিরু, মেখলিগঞ্জের মহকুমাশাসক রামকুমার তামাং, মেখলিগঞ্জ থানার OC মৃত্যুঞ্জয় সিংহ সরকার ছিলেন ।
কোচবিহারে মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে জয়ী সেতু পরিদর্শন জেলা প্রশাসনের - District administration inspected Jaye bridge
মেখলিগঞ্জ ও হলদিবাড়ি ব্লককে বিচ্ছিন্ন করেছে তিস্তা নদী ৷ নির্মীয়মাণ জয়ী সেতুর কাজ সমাপ্ত হলে দুই বিচ্ছিন্ন এলাকা জুড়ে যাবে ।

মেখলিগঞ্জ ও হলদিবাড়ি ব্লককে বিচ্ছিন্ন করেছে তিস্তা নদী ৷ মেখলিগঞ্জ শহরে ঝুঁকি নিয়ে নদী পেরিয়ে আসতে হয় হলদিবাড়ির বাসিন্দাদের । তিস্তা নদীতে এতদিন কোনও সেতু না থাকায় দুই ব্লকের মানুষকে প্রায় 90 কিমি ঘুরে জলপাইগুড়ি শহর হয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে । নির্মীয়মাণ জয়ী সেতুর কাজ সমাপ্ত হলে দুই বিচ্ছিন্ন এলাকা জুড়ে যাবে । তিস্তা নদীর উপর প্রায় আড়াই কিমি দীর্ঘ সেতু গড়ার কাজ অনেকটা এগিয়েছে ।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে জয়ী সেতু তৈরিকে নিজেদের কৃতিত্ব হিসেবে দেখাতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস, BJP ও বামেরা । এই বিষয়ে মেখলিগঞ্জের বিধায়ক অর্ঘ্য রায় প্রধান জয়ী সেতুকে কেন্দ্র করে ভোট প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন । তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আন্তরিক উদ্যোগ না থাকলে এমনটা সম্ভব ছিল না । মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের চিন্তাধারা আজ মানুষের প্রাপ্তি জয়ী সেতু । কিছু কাজ বাকি রয়েছে । তা দ্রুত শেষ হয়ে যাবে । এরপর মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন জয়ী সেতুর ৷
BJP শিবিরের দাবি , তৃণমূল করেনি । সেতুর জন্য BJP সব কিছু করেছে । সেই মতো কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ বরাদ্দ করেছে । এই বিষয়ে BJP-র মেখলিগঞ্জ মণ্ডল সভাপতি দধিরাম রায় বলেন , জয়ী সেতুর নির্মাণে অবদান কেন্দ্রীয় সরকারের । কেন্দ্রীয় সরকারের অবদান এবং আর্থিক অনুদানকে ভুলে আজ তৃণমূল যেভাবে নিজের কৃতিত্ব বলে প্রচার করছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ৷