কোচবিহার, 17 এপ্রিল: কোরোনা আতঙ্কে রোগীর সংখ্যা কমছে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে। বহির্বিভাগে ও ভরতি হতে আসা অন্য বিভাগগুলিতেও রোগীর সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে। যদিও হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সর্দি-কাশি কিংবা জ্বর হলে আতঙ্কে না ভুগে চিকিৎসককে দেখানো উচিত। এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়া দরকার।
কোরোনা-আতঙ্কে রোগীর সংখ্যা কমেছে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে
অন্য বছর এই সময় সংখ্যাটা বাড়লেও বর্তমানে কোরোনা সংক্রমণের ভয়ে রোগীর সংখ্যা কমে গিয়েছে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে। জানাচ্ছে জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ।
বছরের এই সময় ঋতু পরিবর্তনের কারণে অনেকেরই জ্বর, সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। ফলে, এই সময় হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়ে যায়। বহির্বিভাগের পাশাপাশি হাসপাতালে ভরতি হওয়া রোগীর সংখ্যাও বেশি থাকে। কিন্তু কোরোনা সংক্রমণের ভয়ে এবার সম্পূর্ণ অন্য চিত্র দেথা যাচ্ছে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, আগে বহির্বিভাগে গড়ে প্রতিদিন হাজার রোগী চিকিৎসা করাতে আসতেন। কিন্তু, বর্তমানে 200 থেকে 250 জন রোগী আসছেন বহির্বিভাগে দেখাতে। অন্যদিকে, একই সময়ে অন্তত 200 জন রোগী ভরতি থাকতেন মহকুমা হাসপাতালে । কিন্তু, বর্তমানে সেখানে 50 জনের মতো রোগী ভরতি রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, লকডাউন ও কোরোনা সংক্রমণের ভয়েই হাসপাতালে আসা রোগীর সংখ্যা এতটা কম।
এই প্রসঙ্গে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালের সুপার মৃণালকান্তি অধিকারি বলেন, "কোরোনা আতঙ্কের জেরে হাসপাতালে আসা রোগীর সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। যাদের জ্বর কিংবা সর্দি-কাশি থাকছে, তাদের অবশ্যই হাসপাতালে এসে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।"