কোচবিহার, 25 অগাস্ট : লকডাউনের জেরে কোচবিহার পৌরসভার আয় তলানিতে। তাই কর সংগ্রহ করতে এবার বাড়ি বাড়ি যাবে পৌরসভার কর্মীরা। কোচবিহার পৌরসভার প্রশাসক ভূষণ সিং বলেন," কোরোনা আবহে কর সংগ্রহে ভাটা পড়েছিল। ফলে পৌরসভার আয় তলানিতে। তাই কর সংগ্রহ করতে ট্যাক্স কালেক্টররা বাড়ি ও দোকানে যাবেন।"
কোচবিহার পৌরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে 20 টি ওয়ার্ডে 20 হাজার হোল্ডিং রয়েছে। এছাড়া ভবানীগঞ্জ বাজার, বাসস্ট্যান্ড, টোলগেট প্রভৃতি রয়েছে। এইসব জায়গা থেকে মাসে গড়ে 50 লাখ টাকা কর সংগ্রহ হয়। কিন্তু কোরোনা আবহে থমকে গিয়েছে কর সংগ্রহ। টান পড়েছে পৌরসভার নিজস্ব তহবিলে। ফলে অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দেওয়া বাকি পড়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ফের কর সংগ্রহে নামতে চলেছে পৌরসভা। জানা গিয়েছে,20 টি ওয়ার্ডে 20 জন ট্যাক্স কালেক্টর রয়েছে। তাদের সহযোগিতা করার জন্য আরও 20 জন থাকছেন। এছাড়া বাজারে কর সংগ্রহ করার জন্য 15 জন রয়েছেন। দু একদিনের মধ্যেই তারা এই ট্যাক্স সংগ্রহে নামবে বলে জানা গিয়েছে।
কর সংগ্রহ করতে দোকান ও বাড়িতে যাবেন কোচবিহার পৌরসভার কর্মীরা
কর সংগ্রহ করতে এবার বাড়ি বাড়ি যাবে পৌরসভার কর্মীরা। কোরোনা আবহে কোচবিহার পৌরসভার কর সংগ্রহ বন্ধ ছিল ৷ এরফলে পৌরসভার নিজস্ব আয় প্রায় তলানিতে চলে গিয়েছে ৷ এর থেকে মুক্তির জন্য কর সংগ্রহ করতে ট্যাক্স কালেক্টররা বাড়ি ও দোকানে যাবেন।
এদিকে গত চারমাস ধরে বেতন বন্ধ কোচবিহার পৌরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের। বেতন না পেয়ে গত দুসপ্তাহ ধরে কাজ বন্ধ রেখেছেন সাফাই কর্মীরা। বেতন না পাওয়ায় সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে তাদের ৷ বাধ্য হয়ে কাজ ছেড়ে আন্দোলনে নামেন তারা । পৌর কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে আশ্বাস দেয়। পৌরসভার নিজস্ব তহবিল থেকে এই অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দেওয়া হয়। 3000-4000 টাকা পর্যন্ত বেতন রয়েছে এইসব কর্মীদের। কিন্তু কোরোনা আবহে গত কয়েকমাসে পৌরসভার আয় তলানিতে । পৌরসভা নিজেদের আয় বৃদ্ধি করতে এবার কর সংগ্রহ অভিযান শুরু করতে চলেছে ৷ কর সংগ্রহ ঠিকভাবে হলে পৌরসভার সংকট মুক্তি হবে বলেই পৌরকর্মীদের মত ৷ এরফলে বকেয়া বেতন মেটানোতেও পৌরসভা সক্রিয় হবে বলেই ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে ৷