কোচবিহার, 29 সেপ্টেম্বর : কয়েকমাসে মন্ত্রী থেকে বিধায়ক অনেকেই কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন । শাসক দলের নেতা থেকে বিরোধী দলের নেতাও সংক্রমিত হয়েছেন কোচবিহারে । তারপরেও কর্মসূচিতে রাশ টানেনি রাজনৈতিক দলগুলি । রাজনৈতিক কার্যকলাপ বাড়ছে বলে অভিযোগ । স্বাস্থ্যবিধিকে উপেক্ষা করেই এধরণের রাজনৈতিক কর্মসূচি চলছে । এই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন ।
কোচবিহারে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যে পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে । সরকারি নথি অনুযায়ী, মৃত্যু সংখ্যা 35 । বর্তমানে জেলায় সক্রিয় আক্রান্ত 700 । অনগ্রসর কল্যাণদপ্তরের মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ , বিধায়ক উদয়ন গুহ কোরোনা আক্রান্ত হয়েছেন । সুস্থও হয়েছেন অনেকেই । দোকান ,বাজার কিংবা ধর্মস্থান সর্বত্রই ভিড় এড়াতে কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে ।
কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষা করেই তাদের কর্মসূচি পালন করছে । বন্ধ হলঘরে রাজনৈতিক কর্মিসভা থেকে মিছিলেও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ । রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া কর্মীরা যেমন মাস্ক পরেন না । তেমনই সামাজিক দূরত্বও মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ । জনসমাগমেই কর্মসূচিগুলি অনুষ্ঠিত হচ্ছে । স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে এধরণের কর্মসূচি চলায় উঠছে নানা প্রশ্ন ।
এই কার্যকলাপের সমালোচনা করেছেন শিক্ষক দীপক দত্ত । সংবাদপত্র বিক্রেতা আবেদ আলি বলেন, যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন হচ্ছে । তাতে কোরোনা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে ।
কোরোনা বিধি না মেনেই লাগাতার রাজনৈতিক কর্মসূচি কিন্তু কী বলছে রাজনৈতিক সংগঠনগুলি ? SFI-র রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য শুভ্রালোক দাস বলেন, "কেন্দ্রের ও রাজ্যের জনবিরোধী নীতির কারণেই বাম -কংগ্রেসকে পথে নামতে হচ্ছে । স্বাস্থ্যবিধি মানতে গিয়ে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে ।" শাসক দলের বিধায়ক তথা কোচবিহার জেলা তৃণমূলের কোর্ডিনেটর উদয়ন গুহ বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে কিছুটা স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করা হচ্ছে । তবুও আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি ।" BJP-র জেলা সম্পাদক সুদেব কর্মকার বলেন, স্বাস্থ্য বিধি মেনেই আমরা কর্মসূচি করছি ।