কোচবিহার, 12 নভেম্বর : গরুপাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল কোচবিহারের সিতাইয়ে বিএসএফের গুলিতে মৃত তিন ব্যক্তি। শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই দাবি করলেন কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সানি রাজ। এদিন তিনি বলেন, "প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে মৃতেরা গরুপাচারের সঙ্গে যুক্ত ৷ ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ গিয়ে ৬টি গরু উদ্ধার করেছে।"
কাঁটাতারের বেড়ার উপরে একটি বাঁশ ছিল যা দিয়ে গরু পাচারের ঘটনা ঘটছিল বলে মনে করছে পুলিশ। কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে কাঁটাতারের ওপারে জোড়া মৃতদেহ এখনও শনাক্তকরণ হয়নি। তারা বাংলাদেশিই বলে মনে করছে পুলিশ।
কোচবিহারের বক্সিরহাট থেকে দিনহাটা হয়ে হলদিবাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৪০০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে। এই সীমান্তের অধিকাংশ এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘেরা ৷ তবুও কিছু এলাকায় সীমানাগত সমস্যার কারণে ও নদী থাকার কারণে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া সম্ভব হয়নি। আর সেইসব সীমান্ত দিয়েই গরুপাচারের ঘটনা ঘটে বাংলাদেশে।
আরও পড়ুন : সিতাইয়ে বিএসএফের গুলিতে মৃত 3 গরুপাচারকারী
শুক্রবার ভোররাতে সিতাই থানার সাতভান্ডারি গ্রাম দিয়ে একদল দুষ্কৃতী গরুপাচার করছিল বলে অভিযোগ। পাচারকারীদের বিরুদ্ধে বিএসএফের আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই সময় বিএসএফ দুষ্কৃতিদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। কাঁটাতারের ওপারে দু'জন ও কাঁটাতারের এপারে ভারতীয় সীমান্তে এক ভারতীয় নাগরিকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ওই ভারতীয় নাগরিকের নাম প্রকাশ বর্মন (৩৫) পেশায় দিনমজুর।