কোচবিহার, 10 নভেম্বর : অবশেষে ঐতিহ্যবাহী রাস মেলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিল কোচবিহার জেলা প্রশাসন। ১৫ দিনব্যাপী সাড়ম্বরে রাস মেলার অনুমতি দেওয়া হলেও স্টলের ক্ষেত্রে সংখ্যা বেঁধে দিল প্রশাসন ৷ ৫০ শতাংশ স্টল নিয়ে আয়োজন করা যাবে ঐতিহ্যের রাসমেলা, জানিয়ে দিল কোচবিহার প্রশাসন ৷ মেলাজুড়ে করোনা নিয়ে সচেতনতার প্রচারও করা হবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। প্রতিদিন মেলা চত্বরে চলবে স্যানিটাইজেশন।
কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারপার্সন মিনা তার বলেন, প্রশাসন জানিয়েছে করোনার কারণে ৫০ শতাংশ স্টল নিয়ে মেলা আয়োজন করা যাবে। তবে আমরা প্রশাসনের সাথে কথা বলব যাতে আরও বেশি স্টল বসতে পারে। কথিত আছে ১৮১২ সাল নাগাদ মহারাজা হরেন্দ্রনারায়ণ ভেটাগুড়িতে রাসপূর্ণিমার দিন বিশেষ পুজো করে রাজপ্রাসাদে প্রবেশ করেন। সেই উপলক্ষ্যে ভেটাগুড়িতে ১৫ দিন ব্যাপি বিরাট রাস মেলা বসে।
পরবর্তীতে কোচবিহারের মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণ বৈরাগী দিঘির পাড়ে মদনমোহন মন্দির গড়ে তুললে সেখানে রাস উৎসব শুরু হয়। পাশাপাশি মন্দিরের পাশের মাঠে বিশাল এলাকা জুড়ে বসে মেলা যা উত্তরপূর্ব ভারতের বৃহত্তম মেলা হিসেবে পরিচিত। আগে রাজ-রাজাদের আমলে রাসচক্র ঘুরিয়ে এই উৎসবের সূচনা হলেও বর্তমানে কোচবিহারের জেলাশাসক এই রাস উৎসবের সূচনা করেন। কিন্তু করোনার কারণে গতবছর রাস উৎসবে মেলা বসেনি। এবারও সেই মেলা নিয়ে শুরুতে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিল প্রশাসন। পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৫০ শতাংশ স্টল নিয়ে মেলা বসবে।
আরও পড়ুন : ঘটপুজোর শোভাযাত্রার দাবিতে বিক্ষোভ, অ্যাম্বুল্যান্সেই মৃত্যু বালকের
যদিও এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক চাঁদমোহন সাহা বলেন, ৫০ শতাংশ স্টল নিয়ে রাস মেলা বসবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। কোচবিহার সদর মহকুমাশাসক রাকিবুর রহমান জানান, করোনাবিধি মেনে ১৮ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেলা চলবে। মেলা চত্বরজুড়ে করোনা সচেতনতামূলক প্রচার করা হবে।