কলকাতা ও কোচবিহার, 10 অগস্ট: বাঁকুড়ার 7 জনের পর এবার কোচবিহারের 23 জন প্রাথমিক শিক্ষককে তলব করল সিবিআই । টেট উত্তীর্ণ হওয়ার বিভিন্ন নথিপত্র যেমন মার্কশিট থেকে শুরু করে অ্যাডমিট কার্ড ও একাধিক নথিপত্র-সহ এই 23 জন শিক্ষককে তলব করেছে সিবিআই । আজ বৃহস্পতিবার কলকাতার নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে এই 23 শিক্ষককে ।
গতকাল বুধবার বাঁকুড়ার 7 প্রাথমিক শিক্ষককে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। এই সাতজনের মধ্যে তিনজনকে আবার পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন যে, তাঁরা তাপস মণ্ডলকে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন ৷ ধৃত তাপস মণ্ডলের সঙ্গে এই তিনজন শিক্ষকের কীভাবে পরিচয় হল সেই বিষয়ে এখনও সুনিশ্চিতভাবে কোনও তথ্য সামনে আনতে চাইছেন না তদন্তকারীরা । বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন তাপস।
এছাড়াও কিছুদিন আগেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে মুর্শিদাবাদ জেলার চারজন শিক্ষককে সাক্ষী হিসেবে তলব করা হয়েছিল। তাঁরা আদালতে হাজির হলে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক বলেন, "এঁরা টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন। তাহলে এঁদের কেন সাক্ষ্য হিসেবে ডাকা হয়েছে ?" এরপর বিচারকের নির্দেশে ওই চারজন মুর্শিদাবাদের প্রাথমিক শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তাঁরা 14 দিনের জেল হেফাজতে রয়েছেন। ধৃতরা জেরায় স্বীকার করেছেন, তাঁরাও তাপস মণ্ডলকে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন।
গতকাল বাঁকুড়া জেলার সাতজন শিক্ষক নিজাম প্যালেসে আসেন। তাঁদের বয়ান রেকর্ড ও সকল শিক্ষকের কাছ থেকে বিভিন্ন নথিপত্র সংগ্রহ করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন যে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে তবেই তাঁরা এই নিয়োগে উত্তীর্ণ হয়েছেন ও চাকরি পেয়েছেন । সিবিআই সূত্রের খবর, এই দুর্নীতির জাল এমনভাবে বিস্তার করা হয়েছিল যাতে দুর্নীতির বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রকাশ্যে এলেও মাস্টারমাইন্ডরা ধরা না পড়ে। আপাতত এই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে চলেছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন : সাত প্রাথমিক শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের, বক্তব্যে অসঙ্গতি