কোচবিহার, 7 নভেম্বর : "দলে থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করা উচিত নয় । তাঁর বিধায়ক পদ ছেড়ে দেওয়া উচিত ।" তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে সোশাল মিডিয়ায় কোচবিহারের বিক্ষুব্ধ তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামীর পোস্ট ঘিরে এমনই বললেন তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা কোচবিহার জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আবদুল জলিল আহমেদ।
দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়কে পাশে বসিয়ে শনিবার দুপুরে এই তৃণমূল নেতা বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে থেকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খেয়ে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে মানুষ হয়ে , তিনি যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেন তবে তাঁর বিধায়ক পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত ।" গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামীর পদক্ষেপ ঘিরে কোচবিহার জেলায় রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন । এই পরিস্থিতিতে প্রথম কোনও জেলা তৃণমূল নেতার এধরনের মন্তব্য যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা ।
গোটা বিষয়টি কড়া নজরে রাখছে BJP । BJP-র কোচবিহার জেলা সহ সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, "তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অনেকেই আস্থা হারিয়েছে । মিহিরবাবু সম্পর্কে তাঁর দল কি বলবে সেটা তাদের ব্যাপার । তবে তিনি যদি আমাদের দলে আসতে চান, তাঁকে স্বাগত জানাব ।" এদিকে মিহিরবাবুর দেখা না পাওয়ায় গোটা ঘটনায় তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ।
মিহির গোস্বামীকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর আরও পড়ুন : মিহির গোস্বামীর সঙ্গে "সৌজন্য সাক্ষাৎ" BJP সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের
অক্টোবর মাসের শুরুতে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা ও ব্লক কমিটি প্রকাশ হতেই দলের অন্দরে ক্ষোভ দেখা দেয় । দলের জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে সমস্ত সাংগঠনিক পদ থেকে ইস্তফা দেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী । এরপর থেকেই তিনি সোশাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পোস্ট করতে শুরু করেন । গতকাল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে নানা প্রশ্ন তোলেন সোশাল মিডিয়ায় । এরপর আজ সাংবাদিক বৈঠক করে দলের বর্ষীয়ান নেতা আবদুল জলিল আহমেদ বলেন, দলের বিধায়কের পদ থেকে তাঁর ইস্তফা দেওয়া উচিত । আবদুল জলিল আহমেদের সাংবাদিক বৈঠকের পর এখন কী পদক্ষেপ করেন কোচবিহার দক্ষিণের বিক্ষুব্ধ তৃণমূল বিধায়ক সেদিকেই তাকিয়ে কোচবিহারের রাজনৈতিক মহল ।