পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Teacher Recruitment Scam: অঙ্কিতার সেই স্কুলেরই শিক্ষিকার নাম উঠল বিতর্কিত তালিকায় !

রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী (Ankita Adhikary) যে স্কুলে পড়াতেন, সেই স্কুলেরই আরও এক শিক্ষিকার নিয়োগ নিয়ে উঠল প্রশ্ন (Teacher Recruitment Scam) ৷ এসএসসি-র প্রকাশ করা ওএমআর শিটে উঠল ওই শিক্ষিকার নাম ! স্কুলের আসা বন্ধ করলেন ইংরেজির ওই শিক্ষিকা !

Ankita Adhikary colleague name comes under Teacher Recruitment Scam
ফাইল ছবি ৷

By

Published : Dec 23, 2022, 7:45 PM IST

শিক্ষিকার নিয়োগ নিয়ে ফের প্রশ্ন ৷

কোচবিহার, 23 ডিসেম্বর:শিক্ষাক্ষেত্রে বেআইনি নিয়োগ (Teacher Recruitment Scam) নিয়ে আবারও চর্চায় কোচবিহারের (Cooch Behar) মেখলিগঞ্জের (Mekliganj) ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ৷ উল্লেখ্য, একটা সময় এই স্কুলেই চাকরি করতেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী (Ankita Adhikary) ৷ পরে আদালতের নির্দেশে সেই চাকরি খোয়াতে হয় অঙ্কিতাকে ৷ জানা যায়, যোগ্য প্রার্থীকে বঞ্চিত করে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল মন্ত্রীকন্য়াকে ৷ প্রভাবশালী বাবার সৌজন্যেই এই বিশেষ সুবিধা পেয়েছিলেন তিনি ! এবার সেই স্কুলেরই আর এক শিক্ষিকার নিয়োগ নিয়ে উঠল প্রশ্ন ৷

যে শিক্ষিকাকে নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে, তাঁর নাম কণিকা বর্মন ৷ আগে তিনি দক্ষিণ দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ হাইস্কুলে চাকরি করতেন ৷ তিন বছর আগে মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা গার্লস হাইস্কুলে 'মিউচুয়াল ট্রান্সফার' নিয়ে আসেন ৷ তখন থেকেই এই স্কুলে ইংরেজি পড়ান তিনি ৷ এদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বৃহস্পতিবারই নবম-দশম শ্রেণিতে চাকরিপ্রাপ্ত 952 জন শিক্ষক-শিক্ষিকার ওএমআর শিট প্রকাশ করে এসএসসি কর্তৃপক্ষ ৷ সেই তালিকায় নাম রয়েছে কণিকা বর্মনের ! প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি অঙ্কিতার মতো তিনিও অসৎ উপায়ে চাকরি পেয়েছিলেন ?

আরও পড়ুন:আদালতের নির্দেশে মেনে প্রায় 8 লক্ষ টাকা প্রথম কিস্তিতে ফেরত দিলেন পরেশ-কন্যা অঙ্কিতা

এর জবাব দেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ ৷ প্রধান শিক্ষিকা রঞ্জনা রায় বসুনিয়াকে নিয়ে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না ৷ ওই শিক্ষিকা গত তিনবছর ধরে আমাদের স্কুলে ইংরেজি পড়ান ৷ এসএসসির প্রকাশ করা তালিকায় ওঁর নাম রয়েছে ৷ ওঁর স্বামী আমাকে ফোন করেছিলেন ৷ তিনিই একথা জানিয়েছেন ৷ ওঁরা কলকাতা যাচ্ছেন বলে শুনেছি ৷ তবে, আমাদের কাছে আদালতের বা সরকারের কোনও চিঠি বা তথ্য আসেনি ৷ দু'দিন ওই শিক্ষিকা স্কুলেও আসেননি ৷"

এদিকে, এই ঘটনার জেরে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তা বাড়ছে অভিভাবকদের মধ্যে ৷ তাঁদের বক্তব্য, একের পর এক এমন ঘটনা ঘটছে ৷ তাঁদের সন্তানদের তাহলে কারা পড়াচ্ছেন ? কাদের দেওয়া হয়েছে ভবিষ্যতের নাগরিক গড়ার দায়িত্ব ! এই প্রশ্নের উত্তর আপাতত অধরা ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details