কোচবিহার, 4 মে : অনেকদিন ধরেই বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল দু বছরের শিশুর ৷ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করিয়ে কোনও লাভ হয়নি ৷ অবশেষে একমাত্র সন্তানের চিকিৎসা করাতে তাঁকে ভিনরাজ্যে নিয়ে যায় বাবা-মা ৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি সন্তানকে ৷ অবশেষে কন্যাসন্তানের দেহ আগলে ধরেই রাজ্যে ফিরে পরিবার ৷ কিন্তু এখন নিয়ম ভিনরাজ্য থেকে ফিরলেই যেতে হবে কোয়ারানটিনে ৷ নিস্তার নেই কারও ৷ তাই বাড়ির পাশের জায়গায় নিজের হাতে কবর খুড়ে সন্তানকে কবর দিয়ে কোয়ারানটিনে গেলেন বাবা-মা ৷
দুপুরে সন্তানকে শেষকৃত্য, রাতে কোয়ারানটিনে দম্পতি
একমাত্র সন্তানের চিকিৎসা করাতে তাঁকে ভিনরাজ্যে নিয়ে যায় বাবা-মা ৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি তাকে৷ বাড়ির পাশের জায়গায় নিজের হাতে কবর খুড়ে সন্তানকে কবর দিয়ে কোয়ারান্টিনে গেলেন বাবা-মা ৷
কোচবিহার দই ব্লকের পুন্ডিবাড়ি থানা এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি ৷ পেশায় কৃষক৷ স্ত্রী ও দুই বছরের মেয়েকে নিয়েই তাঁর ছোটো সংসার ৷ সম্প্রতি ওই বাচ্চাটির শারীরিক কিছু সমস্যা দেখা দেয় ৷ রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করায় পরিবার ৷ কিন্তু কোনও লাভ না হওযায় গত জানুয়ারি মাসে বেঙ্গালুরুতে একটি বেসরকারি হাসপতালে চিকিৎসার জন্য ওই শিশুকে নিয়ে যায় তার পরিবার ৷ সেখানেই 30 এপ্রিল লিভারে সংক্রমণের কারণে মৃত্যু হয় ওই শিশুর ৷ তারপরই ওই দিন রাতে মোটা টাকায় অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় পরিবার ৷
রবিবার নাকা চেকিং-এ অ্যাম্বুলেন্সটিকে থামায় ফালাকাটা থানার পুলিশ । খবর দেওয়া হয় পুন্ডিবাড়ি থানায় । এরপরই পুন্ডিবাড়ি থানার OC মহিম অধিকারী ও পুলিশের সহযোগিতায় গতকাল দুপুরে কন্যাসন্তানের দেহকে বাড়ির পাশে কবর দিয়ে রাতে কোয়ারানটিনে যায় শিশুটির বাবা-মা ও দিদা । কোচবিহার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত 14 দিন ওই কোয়ারানটিন সেন্টারে রাখা হবে তাঁদের ।