কোচবিহার, 26 এপ্রিল:মঙ্গলবার প্রথমদিন জনসংযোগ যাত্রায় পছন্দের প্রার্থী খোঁজাকে কেন্দ্র করে চরম বিশৃঙ্খলা লক্ষ্য করা গিয়েছিল গোসানিমারিতে ৷ পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, শেষ পর্যন্ত মুখ খুলতে হয়েছিল খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৷ সেই রেশ কাটতে না-কাটতে বুধবার ফের কোন্দল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নব জোয়ার কর্মসূচিতে ৷ এবার মাথাভাঙাতেও পছন্দের প্রার্থীর নাম দিতে গিয়ে রীতিমতো হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা ৷ পরিস্থিতি এমনই ঘোরাল হয়ে যায় যে, নিয়ন্ত্রণে আনতে ময়দানে নামতে হয় খোদ তৃণমূল নেতা পার্থপ্রতিম রায়কে ৷
এদিন মাথাভাঙা কলেজ মাঠে জনসভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এরপরই ভোটগ্রহণ নিয়ে অশান্তি শুরু হয় ৷ অভিযোগ, নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে এখানেও বাধা দেওয়া হয় তৃণমূল কর্মীদের ৷ যার জেরে মুহূর্তে উত্তেজনা ছড়ায়। প্রথমে বচসা, পরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ৷ এই ঘটনায় মাথাভাঙার ফুলবাড়ির তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি বিনয় বর্মন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। তাঁর মাথায় আঘাত লেগেছে বলেও জানা গিয়েছে। এরপরই তাঁকে চিকিৎসার জন্য দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শীতলকুচির সভা থেকে কোন্দল নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন ৷ পঞ্চায়েতের প্রার্থী নির্বাচনের ভোট নিয়ে কোনও বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর বার্তা ছিল, 'পাহারাদারের নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়'। কিন্তু এই বার্তার কয়েক ঘণ্টাও কাটল না। ফের ভোট ঘিরে সাহেবগঞ্জ ও গোসানিমারির মতো বিশৃঙ্খলা, হাতাহাতি শুরু হয় মাথাভাঙাতে। এদিন অধিবেশন স্থল থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চলে যাওয়ার পরই মাথাভাঙা 1 নম্বর ব্লকের পচাগড় এবং শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলের তাঁবুতে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় বলে খবর। বুথের ফ্লেক্সও ছিঁড়ে ফেলা হয়। দলের শিকারপুর অঞ্চল সভাপতি নিত্যজিৎ বর্মনকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ। অঞ্চল সভাপতির গোষ্ঠী তাঁকে হেনস্তা করে এই অভিযোগে কলেজের মাঠ থেকে সদলবলে বেরিয়ে যান তিনি ৷ পাশাপাশি ভোট প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবেন না বলেও জানিয়ে দেন নিত্যজিৎ বর্মন।