কোচবিহার, 3 নভেম্বর : তৃণমূলের বর্ধিত কমিটির সাধারণ সভাতেই গরহাজির দলের জেলার 5 বিধায়ক। আর এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। মঙ্গলবার কোচবিহার সাহিত্যসভায় তৃণমূলের এই বর্ধিত কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। যদিও বিধায়কদের গরহাজির নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়।
তৃণমূলের জেলা কমিটির বর্ধিত সভায় গরহাজির ৫ বিধায়ক - কোচবিহার সাহিত্যসভায় তৃণমূলের বর্ধিত কমিটির সভা
কোচবিহার সাহিত্যসভায় তৃণমূলের বর্ধিত কমিটির সভায় গরহাজির জেলার 5 বিধায়ক। এই নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে কোন্দলকেই দায়ি করছে রাজনৈতিক মহল । লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারে তৃণমূলের ফল খারাপ হয় । তারপরেই জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে । নতুন জেলা সভাপতি করা হয় প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রাযকে। এর পর থেকেই জেলা তৃণমূলে কোন্দল বাড়তে থাকে ।
![তৃণমূলের জেলা কমিটির বর্ধিত সভায় গরহাজির ৫ বিধায়ক 5 mla absent in extended meeting](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/768-512-9416895-688-9416895-1604405675509.jpg)
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই কোচবিহারে দলের জেলা সভাপতির পদে ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। গত লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারে তৃণমূলের ফল খারাপ হওয়ার পর রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে সরিয়ে অনগ্রসর কল্যাণ মন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মণকে জেলা সভাপতি করা হয়। এরপর কয়েক মাস আগে বিনয় বর্মণকে দলের চেয়ারম্যান পদে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয় প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রাযকে। এরপরই জেলায় পার্থবাবুর অনুগামীদের দাপট বাড়তে থাকে।
গত অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে তৃণমূলের যে কোচবিহার জেলা ও ব্লক কমিটি ঘোষণা হয় তাতে পার্থর অনুগামীদের সংখ্যাই বেশি। এনিয়ে একাংশ বিধায়কদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। ইতিমধ্যেই দলের সমস্ত সাংগঠনিক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। এই পরিস্থিতির মধ্যেই মঙ্গলবার ছিল তৃণমূলের বর্ধিত কমিটির সভা। এই সভায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা নাটাবাড়ির বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া, শীতলকুচির বিধায়ক হিতেন বর্মণ, তুফানগঞ্জের বিধায়ক ফজলে করিম মিয়া এবং বিধায়ক মিহির গোস্বামী গরহাজির ছিলেন। দলের গুরুত্বপূর্ণ সভায় 5 বিধায়কের গরহাজিরের জেরে শোরগোল পড়েছে তৃণমূলের অন্দরেই। যদিও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন," শারীরিক অসুস্থতার কারণে এদিন সভায় উপস্থিত হতে পারিনি। তবে এদিনের সভায় দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ, মেখলিগঞ্জের বিধায়ক অর্ঘ্য রায় প্রধান এবং মাথাভাঙার বিধায়ক তথা অনগ্রসর কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মণ হাজির ছিলেন। সভাশেষে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, "এদিন কয়েকটি ব্লকের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সাংগঠনিক আলোচনা হয়েছে। আগামী দিনে বাকি ব্লকের কমিটিগুলো প্রকাশ করা হবে।