পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

কোচবিহারে আটকে শিলিগুড়ির সার্কাসকর্মীরা, সাহায্যের আর্জি প্রশাসনের কাছে

লকডাউনের জেরে শিলিগুড়ি থেকে কোচবিহারে এসে আটকে পড়েছেন সার্কাসকর্মীরা । টাকা না থাকায় আধপেটা খেয়েই চলছে দিন । এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের কাছে সাহায্যের আর্জি জানাচ্ছেন তাঁরা ।

Coochbehar
কোচবিহার

By

Published : Apr 21, 2020, 2:57 PM IST

মাথাভাঙা, 21 এপ্রিল : এলাকায় ঘুরে ঘুরে সার্কাস দেখানোই পেশা । কখনও রাজ্যের এপ্রান্তে তো কখনও অন্য প্রান্তে তাঁরা । এভাবেই মাসের পর মাস কেটে যায় । কিন্তু এবার এভাবে আটকে পড়তে হবে তাঁরা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি । যেটুকু টাকা নিয়ে এসেছিলেন সেটুকুও শেষ । যা রোজগার করেছিলেন 29 জনের পেট চালাতে তাও আর নেই । এর উপর সঞ্চয় কিছু নেই বললেই চলে । দিন আনা দিন খাওয়া এই মানুষগুলোর রোজগারও বন্ধ । কোনওরকমে আধপেটা খেয়ে দিন কাটছে তাঁদের । প্রথম দফায় লকডাউন কাটলে সকলেই ভেবেছিলেন ফিরে যাবেন । কিন্তু লকডাউনের সময়সীমা বাড়ায় এবার সরকারের কাছে সাহায্যের আর্তি এই সার্কাস দলের ।

শিলিগুড়ি থেকে কোচবিহারে দোলের মেলায় এসেছিলেন এই 29 জন । কিন্তু হঠাৎ করে লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় আর ফিরতে পারেননি । ভেবেছিলেন যা রোজগার হয়েছে তাতে চলে যাবে এই ক'দিন । কিন্তু কোথায় কী । সময়সীমা বেড়ে যায় লকডাউনের । এই পরিস্থিতিতে 29 জনের এখন আধপেটা খেয়েই চলছে দিন । মাস্কের ব্যবস্থা হলেও হয়নি খাবারের ব্যবস্থা । সেচ্ছাসেবী সংগঠনের থেকে সাহায্য পেলেও তার এতগুলো ভাগ হওয়ায় আর বেঁচে নেই কিছুই ।

সার্কাসের কর্মী শিবা দাস , মতি রায়রা বলেন, "না পারছি বাড়ি যেতে ,না পারছি খেতে । ছোটো ছোটো ছেলে- মেয়েরা কী খাবে তাও জানি না । আমরা শিলিগুড়ি থেকে এসেছি। কিন্তু লকডাউনের জেরে আটকে পড়েছি । আমাদের খাওয়ার খুব কষ্ট হচ্ছে । তাই সরকার, কোনও রাজনৈতিক দল, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যদি আমাদের লক ডাউন পর্যন্ত খাবারের ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে ভালো হয় । না হলে না খেয়ে থেকে কতদিন বেঁচে থাকব ।"

এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মালতি বর্মণ বলেন, "সার্কাসকর্মীরা আধপেটে খেয়ে আছেন শুনে খাবারের ব্যবস্থা করেছি ৷ ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েছি ওঁদের সমস্যার কথা ৷"

ABOUT THE AUTHOR

...view details