কোচবিহার, 7 নভেম্বর : জলে ডুবে মারা গেছে বাবা ৷ পরিবারে মা ও ছয় ভাইবোন ৷ দুই দিদির মধ্যে একজন পড়ে ইলেভেনে, অন্যজন ক্লাস এইটে ৷ বিধবা মা ঘরে একা ৷ বাবা মারা যাওয়ার পর দু'বেলা খাবার জোগাড় করাই তার একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ সেও পড়াশোনা করে ৷ অন্য বন্ধুদের মতো আরামে থাকার স্বপ্ন দেখে ৷ কিন্তু আর পাঁচজনের মতো স্বাচ্ছন্দ্যে বাঁচার অনুমতি নেই তার ৷ ঘরে ছোটো ছোটো ভাইবোন আছে ৷ তার উপর দিদিদের পড়াশোনার খরচ ৷ সংসারের ভার তার ছোট্ট কাঁধে৷ হাতের মুঠোয় লটারির টিকিট নিয়ে জীবন সংগ্রামের রাস্তায় নেমে পড়েছে মাথাভাঙার পার্থ ৷ এখন লটারি টিকিট বেচেই দু'বেলা অন্ন জোগায় পরিবারকে ৷
পার্থ চক্রবর্তী ৷ বাড়ি কোচবিহারের মাথাভাঙার গোপালপুর গ্রামে ৷ শ্রাবণ মাসে স্নান করতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয় বাবার ৷ সংসারে এখন সাতজন ৷ তার মাঝে দিদি, ভাইদের পড়াশোনার খরচ ৷ কিন্তু রোজগার করার কেউ নেই ৷ অগত্যা সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে পার্থ ৷ নিজে ক্লাস সিক্সে পড়ে ৷ তবে পড়াশোনা আপাতত শিকেয় উঠেছে ৷ সপ্তাহে দু'দিন স্কুলে যায় সে । কারণ টিকিট বিক্রি করে আর সময় মেলে না ৷ আগে সংসারকে দেখতে হবে ৷ দু'বেলা ছোটো ছোটো ভাইবোনকে খাওয়াতে হবে ৷ তাদের ওষুধপত্র জোগাতে হবে ৷ এই পরিস্থিতিতে লটারি টিকিট বেচেই সংসার চালাচ্ছে পার্থ ৷ সকাল হলেই লটারি টিকিট নিয়ে বেরিয়ে যায় ৷ দিনভর টিকিট বেচে যা রোজগার হয়, তাই দিয়েই দু'বেলার ভাত জোগায় পরিবারকে ৷