কলকাতা, ৯ ফেব্রুয়ারি : কলকাতা থেকে এক জামাত জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF) তাকে শিয়ালদা থেকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতের নাম মনিরুল ইসলাম। সূত্রের খবর, সে বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত ছিল। ধৃতকে আজ ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন।
শিয়ালদায় STF-র জালে জামাত জঙ্গি - JM
কলকাতা থেকে গ্রেপ্তার এক জামাত জঙ্গি। সূত্রের খবর, সে বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত ছিল।
২ ফেব্রুয়ারি কেরালার মল্লপুরম থেকে STF আবদুল মতিন নামে এক জামাত জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে। মতিন আদতে অসমের বরপেটার বাসিন্দা। মালদার কালিয়াচকে শের শাহ মাদ্রাসায় পড়াশোনার সময় মতিন জামাতুল মুজাহিদিনের সংস্পর্শে আসে। তারপর বর্ধমানের শিমুলিয়া মাদ্রাসায় প্রায় ১৫ জন জঙ্গির সঙ্গে মতিন প্রশিক্ষণ নেয়। সূত্রের খবর, মতিনের সঙ্গে মনিরুলও প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। মতিনকে জেরা করেই মনিরুলের হদিশ পাওয়া যায়। সেই সূত্র ধরেই শিয়ালদা থেকে মনিরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত বছরের জুলাইয়ে NIA কেরালার মল্লপুরমের বাঙালি শ্রমিক কলোনি থেকে দুই জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে। তাদের নাম আবদুল করিম (১৯) ওরফে ছোট্টা ও মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে তুহিন। করিমের বাড়ি মুর্শিদাবাদে। তুহিন বীরভূমের বাসিন্দা। তুহিন জামাতুল মুজাহিদিন ইন্ডিয়ার (JMI) অন্যতম মাথা। সে বিস্ফোরক বানাতে পটু। তাকে জেরা করে NIA বোমারু মিজ়ানের খোঁজ পায়। সে ভারতে জামাতের সংগঠনের প্রধান ছিল। মিজ়ানকে বেঙ্গালুরু থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে রামাগাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। খাগরাগড় কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মিজ়ান ধরা পড়তে STF তৎপর হয়। সূত্রের খবর, মিজ়ান পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, মালদাসহ একাধিক জায়গায় JMI-র মডিউল তৈরি করেছে। সেরকমই একটি মডিউলের হয়ে মনিরুল সংগঠনে সদস্য নিয়োগের কাজ করত।