কলকাতা, ১১ মার্চ : নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হওয়ার পরও প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া সরকারি বিজ্ঞাপন খোলা হয়নি। আজ সর্বদলীয় বৈঠকে অবিলম্বে সেই বিজ্ঞাপন খুলে ফেলার দাবি জানাল CPI(M)। মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া বিজ্ঞাপন খোলার দাবি জানালেও প্রধানমন্ত্রীর ছবি লাগানো বিজ্ঞাপন নিয়ে নিশ্চুপ থাকে BJP।
মোদি-মমতার ছবি খুলুন, দাবি CPI(M)-র - Model Code of Conduct, Lok Sabha Election
নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হওয়ায় মোদি-মমতার ছবি খুলুন, দাবি CPI(M)-র
![মোদি-মমতার ছবি খুলুন, দাবি CPI(M)-র](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/images/768-512-2664471-948-2630a3fd-3aaf-4da8-b399-fd3d8337fffe.jpg)
গতকাল সপ্তদশ লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপর আজ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বৈঠক থেকে বেরিয়ে BJP প্রতিনিধি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, "নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হওয়ার পর সরকারি সম্পত্তিতে কোনও রাজনৈতিক দলের বিজ্ঞাপন দেওয়া যায় না। কিন্তু, রাজ্যজুড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ দেওয়া বিজ্ঞাপন রয়েছে। কয়েক লাখ হোর্ডিং, পোস্টার ও বিজ্ঞাপনে মুখ্যমন্ত্রীর হাসি মুখে ছবি রয়েছে। এটা কদিনের মধ্যে সরবে? তৃণমূলের উচিত ছিল, আজ সকাল বা বিকেলের মধ্যে এরকম বিজ্ঞাপন সরিয়ে নেওয়া। সেটা কবে সরানো হবে তা আমরা জানতে চেয়েছি। তবে কয়েকদিনের মধ্যে করতে হবে। নাহলে তাদের নোটিশ পাঠাতে হবে।" তিনি জানান, বিষয়টি BJP-র তরফে বৈঠকে তোলা হয়েছে। তাঁকে পালটা প্রশ্ন করা হয়, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের বিজ্ঞাপনে তো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুখ সম্বলিত বিজ্ঞাপন এখনও রয়েছে। সেগুলির কী হবে ? সে প্রসঙ্গে দৃশ্যত বিব্রত জয়প্রকাশ বলেন, "সেগুলিও নিশ্চয়ই সরানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকলে তা সরানো হবে। নির্বাচনী আচরণবিধির আওতায় পড়লে তা সরানো হবে। সঠিকভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু করতে হবে।"
বামফ্রন্টের তরফেও সরকারি বিজ্ঞাপন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সরানোর দাবি তোলা হয়। রবিন দেব বলেন, "থানায় সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফের প্রচার থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি ভবনে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেখা যাচ্ছে। নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে যাওয়ার পরই সেই ছবি সরিয়ে নেওয়া উচিত ছিল। শুধু মুখ্যমন্ত্রী নন। একইভাবে বিভিন্ন পেট্রল পাম্প থেকে শুরু করে রেলস্টেশনে নরেন্দ্র মোদির ছবি সম্বলিত বিজ্ঞাপন রয়েছে।" পাশাপাশি বামফ্রন্টের অভিযোগ, নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করছে BJP। আর সেজন্যই দেরিতে ভোট ঘোষণা করা হয়েছে। রবিন দেব বলেন, "গত পাঁচ বছর ধরে নরেন্দ্র মোদির সরকার বিভিন্ন এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করেছে। নির্বাচন কমিশনকেও তারা ব্যবহার করেছে। আর সেই কারণে প্রধানমন্ত্রীর সমস্ত উদ্বোধনের কার্যক্রম শেষ হয়ে যাওয়ার পর গতকাল তড়িঘড়ি নির্বাচন ঘোষণা করা হল। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় আমরা হতাশ।"