কলকাতা, ১৪ ফেব্রুয়ারি : CBI-এর আদালত অবমাননার মামলায় পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ২০ ফেব্রুয়ারি। সূত্রের খবর, সেই শুনানির আগে কলকাতার পুলিশ কমিশনার পদ থেকে বদলি হতে চলেছেন রাজীব কুমার। তাঁকে রাজ্য সরকার কোন পদে নিয়োগ করবে তা অবশ্য এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নয়া নির্দেশিকার পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে রাজীব কুমারের বদলি নিশ্চিত বলে জানা গেছে। আর তা হওয়ার সম্ভাবনা ২০ ফেব্রুয়ারির আগে।
সুপ্রিম কোর্টে শুনানির আগে সরছেন রাজীব কুমার?
CBI-এর আদালত অবমাননার মামলায় পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ২০ ফেব্রুয়ারি। সূত্রের খবর, সেই শুনানির আগে কলকাতার পুলিশ কমিশনার পদ থেকে বদলি হতে চলেছেন রাজীব কুমার। নির্বাচন কমিশনের নয়া নির্দেশিকার পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে রাজীব কুমারের বদলি নিশ্চিত বলে জানা গেছে। আর তা হওয়ার সম্ভাবনা ২০ ফেব্রুয়ারির আগে।
গত ১৬ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন কমিশন একটি নির্দেশিকা জারি করে। নির্দেশিকায় বলা হয় নির্বাচনের কাজে যুক্ত কোনও অফিসার নিজের জেলায় কর্মরত থাকলে, করতে হবে বদলি। কেউ যদি একই জায়গায় চারবছর কিংবা ৩১ মে ২০১৯-এর মধ্যে তিন বছর পূর্ণ হয়, তাঁকেও বদলি করতে হবে। ৩১ মে ২০১৭ সালের মধ্যে যে সমস্ত নির্বাচন এবং উপ-নির্বাচন হয়েছে, সেই নির্বাচনে যারা ডেপুটি ইলেকশন অফিসার, রিটার্নিং অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন তাঁদেরও করতে হবে বদলি। একই কাজ করতে হবে পুলিশ ইন্সপেক্টর ও সাব ইন্সপেক্টরদের ক্ষেত্রেও। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এমন নির্দেশনামা পৌঁছায় নবান্নেতেও। তাতে বলা হয়েছিল ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বদলি সম্পূর্ণ করতে হবে। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন বদলির শেষ দিন ২৮ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেধে দিয়েছে।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে সরানো হয়েছিল রাজীব কুমারকে। সেই বছরের মে মাসের ২১ তারিখ কলকাতার পুলিশ কমিশনার পদে ফিরিয়ে আনা হয় তাঁকে। চলতি বছরের ৩১ মের আগেই দুই দফায় রাজীব কুমার কলকাতা পুলিশ কমিশনারের দায়িত্ব সামলানোর তিন বছর সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। সেই ক্ষেত্রে নির্দেশিকা অনুযায়ী ২০ ফেব্রুয়ারির আগেই বদলি হতে হবে রাজীব কুমারকে। এই একই কারণে ইতিমধ্যেই সরানো হয়েছে চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অজয় কুমারকে। এখন কলকাতার নতুন পুলিশ কমিশনার কে হন সেটাই দেখার।