কলকাতা, ১৪ মার্চ : আগামী দু'সপ্তাহ শান্তনু ঠাকুর ও মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না পুলিশ। আজ এই নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও মনোজিৎ মণ্ডলের ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি বলা হয়, এই সময়ের মধ্যে গাইঘাটার বাইরে যেতে পারবেন না শান্তনু ঠাকুর ও মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর।
আগামী ২ সপ্তাহ গ্রেপ্তার নয় মঞ্জুলকৃষ্ণ ও শান্তনু ঠাকুরকে : হাইকোর্ট - next two weeks
আগামী দু'সপ্তাহ শান্তনু ঠাকুর ও মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না পুলিশ। আজ এই নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও মনোজিৎ মণ্ডলের ডিভিশন বেঞ্চ।
মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর ও শান্তনু ঠাকুরের দাবি অনুযায়ী, বড়মা বীণাপাণি দেবী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি লিখেছিলেন। সেখানে বড়মা মুখ্যমন্ত্রীকে মতুয়াদের সুবিধার কথা ভেবে NRC বিল মেনে নিতে বলেন। কিন্তু মমতাবালা ঠাকুরের দাবি, ওই চিঠিতে যে সই রয়েছে, তা বড়মার নয়। বরং বড়মার সই জাল করে ওই চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছেন মঞ্জুলকৃষ্ণ ও শান্তনু ঠাকুর। এরপর ১১ ফেব্রুয়ারি বড়মার সই জাল করার অভিযোগে শান্তনু ঠাকুর ও মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের বিরুদ্ধে গাইঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মমতাবালা ঠাকুর। তাঁদের বিরুদ্ধে ৪১৯, ৪৬৫, ৪৬৮ ও ৪৬৯ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তারি এড়াতে হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানান শান্তনু ও মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর।
আজ এই মামলাটি বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও মনোজিৎ মণ্ডলের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে। রাজ্যের তরফে আইনজীবী রুদ্রদীপ্ত নন্দী বলেন, "এই ঘটনার তদন্তকারী অফিসারের বাবা গতকাল মারা গেছেন। তাই দু'একদিন পরে মামলাটির শুনানি হলে ভালো হয়।" সেইসময় মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর ও শান্তনু ঠাকুরের আইনজীবী লিটন মৈত্র ও সৌভিক মিটার বলেন, "আমার মক্কেলেরও মা মারা গেছেন কয়েকদিন আগে।" শেষে দুই পক্ষের কথা শোনার পর ডিভিশন বেঞ্চ এক সপ্তাহ পর এই মামলার শুনানির দিন ঘোষণা করে। পাশাপাশি জানানো হয়, আগামী দু'সপ্তাহ পর্যন্ত মঞ্জুলকৃষ্ণ ও শান্তনু ঠাকুরকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। তবে, এই সময়ের মধ্যে গাইঘাটার বাইরে যেতে পারবেন না মামলাকারীরা। এবং সপ্তাহে একদিন গাইঘাটা থানার OC-র সঙ্গে দেখা করতে হবে।