কলকাতা, 21 মে : রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের হস্তক্ষেপের দাবি করলেন BJP রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ । আজ রাজভবনে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে দেখা করে এই বিষয়ে কেন্দ্রের দ্রুত হস্তক্ষেপের দাবি জানায় BJP-র প্রতিনিধি দল ।
রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে এসে দিলীপ ঘোষ বলেন, "রাজ্যে ভোট গণনার দিন একটা গন্ডগোল করার চেষ্টা করা হচ্ছে । আমরা নির্বাচন কমিশনকে লিখিত ভাবে এই অভিযোগ জানিয়েছি ।" তিনি আরও অভিযোগ করেন, "যদি তৃণমূল হারে তা হলে রাস্তাঘাটে গন্ডগোল করার চেষ্টা করতে পারে । রাস্তা অবরোধ করার চেষ্টা হবে ।" দিলীপবাবু সাধারণ মানুষকে আবেদন জানিয়ে বলেন, "আপনারা সাহসের সঙ্গে ভোট দিয়েছেন । তেমনই সাহসের সঙ্গে প্রতিরোধ করুন ।"
এরপর তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "BJP-র কর্মীরা চুপ করে বসে থাকবে না । যদি দুষ্কৃতীরা রাস্তায় নামে, তাদের কী ভাবে প্রতিরোধ করতে হয় সেটা আমরা জানি । "
এদিকে তৃণমূলের অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সেনাকে ব্যবহার করছে BJP । এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "আমাদের সর্বভারতীয় সভাপতির রোড-শোতে আক্রমণ হয়েছে । তাই আমাদের মনে হয়েছে ভোটগ্রহণের পরও এই ধরণের গন্ডগোল হতে পারে । তাই আমরা কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করেছিলাম যাতে 27 মে পর্যন্ত রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকে ।"
ভাটগাড়া এলাকায় অশান্তি প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "ব্যারাকপুরে কাঁকিনাড়ার এলাকায় রাজনৈতিক হিংসা চলছে । পুলিশ প্রশাসন রাজনৈতিক হিংসা বন্ধ করতে চাইছে না । সিনিয়র পুলিশ অফিসারদের সামনেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে । পুলিশ বাহিনীর সামনে পিছনে কিছু গুন্ডা আছে যারা এই কাজ করছে । রাজ্য সরকার দেখাতে চাইছে আমরা না থাকলে রাজনৈতিক শান্তি থাকবে না । তাই শুধু ভাটপাড়া ও কাঁকিনাড়া নয় । রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে ।"
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, "শেষ পর্বের ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগে থেকে ডায়মন্ডহারবার ও নোদাখালিতে রাজনৈতিক সন্ত্রাস শুরু হয়েছে । ডায়মন্ডহারবারের 30 জন কার্যকর্তাকে গ্রেপ্তার করে অন্য জেলায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে । যে করেই হোক BJP-কে হারাতে হবে । যখন পাচ্ছে না । তখনই রাজ্যে একটা হিংসার বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল । তার প্রতিবাদেই আজ আমরা রাজ্যপালকে লিখিত অভিযোগ জানাই । কারণ প্রশাসনকে বার বার জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না । তাই আমাদের বারবার রাজ্যপালের কাছে আসতে হচ্ছে । কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে বিষয়টা জানানোর জন্য রাজ্যপালকে আমরা আবেদন জানিয়েছি ।"