কলকাতা, 9 জুলাই: টার্গেট ছিল কিশোরী কিংবা তন্বী যুবতী । একটু ভালো জামাকাপড় পরে রাস্তায় বেরোলেই বাইকবাজের কুনজরে পড়ত তারা । অভিজাত লেক থানা এলাকার একটু ফাঁকা রাস্তায় যুবতীদের দেখলেই চলছিল শ্লীলতাহানি। কেউ কেউ সহ্য করেছেন মুখ বুজে । অনেকেই করেননি । সোজা হাজির হয়েছেন লেক থানায়। দায়ের করেছেন অভিযোগ । সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে পাকড়াও করতে পুলিশের সহায় হল জলের জার। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম বিকাশ কুমার গুপ্ত ।
বাইকে চড়ে মহিলাদের শ্লীলতাহানির শখ ! ধরিয়ে দিল জলের জার
ফাঁকা রাস্তাতে যুবতীদের দেখলেই শ্লীলতাহানির করত এক বাইক আরোহী । মাসতিনেক ধরে এরকম একাধিক অভিযোগ আসছিল । অবশেষে সেই বাইকবাজকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশ ।
লেক থানা সূত্রে জানা গেছে, শ্লীলতাহানির প্রথম অভিযোগ দায়ের হয় 2 এপ্রিল । ফের বাইকবাজের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয় 20 মে । শেষ অভিযোগ 20 জুন । মাঝের সময়টায় অনেক যুবতী লেক থানায় গিয়ে মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছেন । যদিও বিভিন্ন কারণে তাঁরা মামলা দায়ের করতে রাজি হননি । একের পর এক অভিযোগ পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসে কলকাতা পুলিশ । শুরু হয় জোরকদমে তদন্ত । যেসব এলাকায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে সেখানকার CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা । দেখা যায়, প্রতিটি ঘটনাতেই বিশেষ একটি বাইককে আশপাশে দেখা গেছে । এক তদন্তকারী জানাচ্ছেন, ভালো করে খতিয়ে দেখার পর দেখা যায় বিশেষ সেই বাইকের পেছনে বাঁধা আছে কুড়ি লিটারের জলের জার ।
এরপরেই তদন্তকারীদের বুঝে নিতে অসুবিধা হয়নি যে, অভিযুক্ত যুবক বাড়ি বাড়ি জল সরবরাহ করে । এবার শুরু হয় তালিকা তৈরির কাজ । তালিকাটা লেক থানা এলাকায় পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহকারীদের । তারপরেই চিহ্নিত করা হয় অভিযুক্তকে। তার নাম বিকাশ । বিকাশ থাকে লেক সুপার মার্কেট এলাকায় । সেখানে তার বাবার একটি মুদির দোকান আছে । বিকাশ বাড়ি বাড়ি জল সরবরাহের কাজ করে । গতরাতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে লেক থানা । পুলিশ সূত্রে খবর, আজ তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক 15 তারিখ পর্যন্ত জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন । লালবাজার সূত্রের খবর, এর মাঝেই হবে অভিযুক্তের TI প্যারেড । সেখানে ডাকা হবে অভিযোগকারীদের । তাদের দিয়েই করা হবে বিকাশকে শনাক্ত ।