বোলপুর, 1 ফেব্রুয়ারি: "আপনি কান দিয়ে দেখেন ৷ আপনার আশীর্বাদ না-থাকলেই আমাদের সুবিধা কারণ, আমরা প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে চলতে অভ্যস্ত ৷" রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিয়ে বিস্ফোরক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্যের একমাত্র কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ (Visva Bharati University released a press release slamming Mamata Banerjee)। আর এমন সময় জারি করা হল এই বিজ্ঞপ্তি, যখন কি না, খোদ মুখ্যমন্ত্রী রাঙামাটির জেলায় ৷
বুধবার বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মুখ্যমন্ত্রীর কি করা উচিত, সেই উপদেশও দেওয়া হয় ৷ এমনকী রাজনৈতিক কথাও তুলে ধরা হয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে। যা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তুঙ্গে ৷ প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান সম্পর্কে এহেন মন্তব্য করে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা কতটা যুক্তিযুক্ত এবং আইন সম্মত। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন জমি দখল করে রেখেছেন ৷ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যখন এই অভিযোগে নিন্দার ঝড় সর্বত্র, তখনই বীরভূম সফরে এসে অমর্ত্য সেনের 'প্রতীচী' বাড়িতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নোবেলজয়ীর হাতে রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের নথি তুলে দেন ৷ মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, সম্পূর্ণ জমি অধ্যাপক অমর্ত্য সেনের। এরপর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী-বিরোধী আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "শ্রদ্ধেয় অমর্ত্য সেনকে অসম্মান করা হচ্ছে। সম্পূর্ণ জমিই তাঁর।" নাম না-করে উপাচার্যকেও কটাক্ষ করেন তিনি ৷ পরে পড়ুয়াদের সাসপেণ্ড প্রসঙ্গটি সংসদে উত্থাপন করতে সাংসদ শতাব্দী রায়কে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনও বোলপুর ডাকবাংলো মাঠে প্রশাসনিক সভা থেকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে একহাত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই ফলশ্রুতি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের এই বিস্ফোরক প্রেস বিজ্ঞপ্তি।