বোলপুর, 2 জানুয়ারি: বছরের শুরুতেই তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপেছে উত্তর-মধ্য জাপান ৷ তারপর থেকে প্রায় 80 বার আফটার শক হয়েছে ৷ পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে জারি হয়েছে সুনামি সতর্কতা ৷ আর এই আতঙ্কের মুহূর্তে জাপানে সপরিবারে রয়েছেন বিশ্বভারতীর জাপানি বিভাগের এক বাঙালি অধ্যাপক ৷ কেমন ছিল সেই মুহূর্ত, বর্তমানে কী অবস্থায় রয়েছে জাপান ? টোকিয়ো থেকে ভিডিয়ো কলে ইটিভি ভারতকে সবিস্তারে সেই পরিস্থিতির বর্ণনা দিলেন অধ্যাপক ডঃ সুদীপ্ত দাস ৷ বোলপুরের বাসিন্দা হলেও এই মুহূর্তে স্ত্রী ও সদ্যোজাত সন্তানকে নিয়ে গবেষণার জন্য জাপানে রয়েছেন তিনি ৷
নতুন বছরের প্রথম দিনেই রিখটার স্কেলে 7.6 মাত্রার তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে উত্তর-মধ্য জাপানের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ৷ আর তারপরেই সুনামি সতর্কতা জারি করেছে সে দেশের সরকার । বিশেষ করে দেশের পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে জারি হয়েছে সুনামির সতর্কবার্তা ৷ উপকূল এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ৷ এখনও পর্যন্ত জাপানের এই ভূমিকম্পে প্রায় 40 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ বহু মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৷ ভেঙে গিয়েছে বাড়িঘর ৷ এই মুহূর্তে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও জল সংযোগ বিচ্ছিন্ন ৷
টোকিয়ো থেকে ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে ইটিভি ভারতকে অধ্যাপক সুদীপ্তবাবু জানান, তাঁরা সুস্থ আছেন ৷ কিন্তু জাপানের উপকূলীয় অঞ্চলের অবস্থা খুবই খারাপ ৷ এই মুহূর্তে জাপানের 33 হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই, জল নেই । 5 হাজারেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে আনা হয়েছে । জাপানের স্থানীয় সময় বিকেল 4টে 30 মিনিট নাগাদ তোইয়ামা ও মিয়াজাকিতে নতুন করে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে । প্রায় 80 সেন্টিমিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস উঠছে এখনও । এছাড়াও ইশিকাওয়া দ্বীপের ওয়াজিমা শহরে আগুনও লেগে গিয়েছিল এই ভূমিকম্পের জেরে ।
সুদীপ্তবাবুর কথায়, "এখনও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাটেনি ৷ পরিবার নিয়ে আমিও আতঙ্কে আছি । তবে ভারতীয় দূতাবাস আমাদের হেল্পলাইন নম্বর দিয়েছে । কোনওরকম সমস্যা হলে তাদের জানাতে বলেছে ৷ জাপান সরকারও দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে ৷ বছরের প্রথম দিনে কিছুক্ষণ পরপরই কেঁপে ওঠে মাটি । এদিন প্রায় 80বার মৃদু ভূমিকম্প হয়েছে । সকলেই আমাদের খোঁজ নিচ্ছেন ৷"