পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিককে জেরার নামে হেনস্থার অভিযোগ বিশ্বভারতীর - Interrogation of Visva-Bharati official

পৌষমেলা চার দিনের মধ্যেই শেষ করতে হবে। এমনটাই নির্দেশ ছিল পরিবেশ আদালতের। সেই মতো এবার পৌষমেলা তুলে দেওয়া নিয়ে বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে মাঠে নামেন খোদ উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সেই সময় বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি অভিযোগ করেছিল, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ নিয়মবহির্ভূতভাবে বলপূর্বক দোকান উচ্ছেদ করছে । এক মহিলা উপাচার্য সহ বিশ্বভারতীর আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও লুটপাটের অভিযোগ দায়ের করেন শান্তিনিকেতন থানায়। সেই মামলায় জেরা করা হয় বিশ্বভারতীর এক আধিকারিককে ৷

Interrogation of Visva-Bharati official
সাংবাদিক বৈঠকে বিশ্বভারতীর কর্মসমিতির সদস্য সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়

By

Published : Jun 22, 2020, 9:38 PM IST

শান্তিনিকেতন, 22 জুন : পৌষ মেলা সংক্রান্ত মামলায় বিশ্বভারতীর এক আধিকারিককে চার ঘণ্টা জেরা ৷ জেরা চলাকালীন চা, জল কিছুই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ৷ সাংবাদিক বৈঠক করে পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ তোলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ৷ এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন রাষ্ট্রপতি মনোনীত বিশ্বভারতীর কর্মসমিতির সদস্য সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায় ।

সাংবাদিক বৈঠকে সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমাদের উচ্চ পর্যায়ের এক কর্মীকে চার ঘণ্টা জেরা করা হয়েছে। এটা কি ঠিক হয়েছে? জল, চা-ও দেওয়া হয়নি। মেলা বন্ধ করতে আমরা গ্যাস সিলিন্ডার তুলে নিয়ে গিয়েছি। এর প্রেক্ষিতে একটা লোককে কি চার ঘন্টা তুলে নিয়ে গিয়ে হেনস্থা করবে? বেলা দশটায় কি লুট করবে? এটা ঠিক নয়। যেটা ঠিক সেটা নিয়ে আসুন সামনে।" তিনি আরও বলেন, "2016 সালে ভাঙা মেলা চলছে বলে মামলা করা হয়। এইজন্য বিশ্বভারতীকে 10 লাখ টাকা জরিমানা দিতে হয়েছে। সেই মামলা মিটলে ফের 2017 সালে মামলা করা হয় । আজও সেই মামলা চলছে। এর জন্য উপাচার্যকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। যে মেলা বন্ধ হয়ে গিয়েছে, তাও চালিয়েছেন কেন? সেইজন্য এবার উপাচার্য দাঁড়িয়ে থেকে মেলা তুলে দিতে বলেছেন । দিনের আলোয় কেন্দ্রীয় ফোর্স নিয়ে মেলা বন্ধ করা হয়েছে।"

সুশোভন বাবু আরও বলেন, "পুলিশ জানত মেলা কবে বন্ধ করা হবে । কোনও চেষ্টা করেনি । এই জন্য উপাচার্যকে দিল্লি যেতে হয়েছে । আমরা প্রতিটি সময় পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করেছি । সমস্ত পুলিশ অফিসার খুব ভালো করে জানেন । SDPO-এর বাংলো মেলার মাঠের গায়ে । মেলা তুলে দেওয়া নিয়ে মাইকিং হয়েছে। SDPO দুবেলা শুনতে পাচ্ছেন। সব পুলিশ অফিসার শুনতে পাচ্ছেন। মেলার আগে পুলিশ, প্রশাসন, ব্যবসায়ী সমিতি সবার সঙ্গে মিলিতভাবে আমাদের আলোচনা হয়েছে।"

উল্লেখ্য, বৈঠকে আলোচনা সত্ত্বেও পৌষমেলা তুলে দেওয়া নিয়ে পুলিশ কোনও চেষ্টা করেনি, এমনটাও অভিযোগ করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের দাবি, মেলা তুলে দেওয়ার সময় উপাচার্যসহ অন্য আধিকারিকদের বিরুদ্ধে হওয়া অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ।

পৌষমেলা চার দিনের মধ্যেই শেষ করতে হবে। এমনটাই নির্দেশ ছিল পরিবেশ আদালতের। সেই মতো এবার পৌষমেলা তুলে দেওয়া নিয়ে বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে মাঠে নামেন খোদ উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সেই সময় বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি অভিযোগ করেছিল, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ নিয়মবহির্ভূতভাবে বলপূর্বক দোকান উচ্ছেদ করছে । এক মহিলা উপাচার্য সহ বিশ্বভারতীর আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও লুটপাটের অভিযোগ দায়ের করেন শান্তিনিকেতন থানায়। এই মামলায় 21 জুন বিশ্বভারতীর এক আধিকারিককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ।

যদিও, এই প্রসঙ্গে বোলপুরের SDPO অভিষেক রায়কে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details