শান্তিনিকেতন, 1 জানুয়ারি : ঠাকুরবাড়ির মহিলাদের নিয়ে গঠিত আলাপিনী মহিলা সমিতির ঘর কার্যত সিল করে দিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনুপ্রেরণায় ও তাঁর দাদা দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সহযোগিতার 1916 সালে বিশ্বভারতীতে গড়ে উঠেছিল "আলাপিনী মহিলা সমিতি" । কবিপত্নী থেকে শুরু করে অমর্ত্য সেনের মা-সহ বিশিষ্টরা এই সমিতির সদস্যা ছিলেন । ঐতিহ্যবাহী এই মহিলা সমিতি এবার বন্ধ করে দিল বিশ্বভারতী । যা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে । এদিন বিশ্বভারতীর গেটের কাছে অবস্থান-বিক্ষোভ করেন সমিতির মহিলা সদস্যরা ।
1916 সালে গুরুদেবের অনুপ্রেরণায় আশ্রমের ভিতরে গড়ে ওঠে "আলাপিনী মহিলা সমিতি"। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদা দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর আলাপিনী নামকরণ করেছিলেন । প্রতিমাদেবী থেকে শুরু করে ঠাকুরবাড়ির মহিলারা এই সমিতির সদস্যা ছিলেন । সমিতির উদ্যোগে "শ্রেয়শী" নামক একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়ে আসছে । এই পত্রিকাটির নামকরণও করেছিলেন দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর । তবে সমিতির নির্দিষ্ট কোনও ঘর ছিল না । বিভিন্ন জায়গায় সমিতির সভা বসত । সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের মেয়ে ইন্দিরাদেবী চৌধুরানি এই সমিতির সদস্যা ছিলেন । 1956 সালে তিনি বিশ্বভারতীর উপাচার্য হন । তখন আশ্রমের ভিতর পাঠভবনের গায়ে আলাপিনী মহিলা সমিতির জন্য একটি ঘর দিয়েছিলেন । মাটির বাড়ি, খড়ের ছাউনি । এই বাড়িতেই মাসে দু'বার করে বসে মহিলা সমিতির সভা । আশ্রম শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত এই সমিতি । সেই ঐতিহ্যবাহী মহিলা সমিতি কার্যত বন্ধ করে দিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ।