শান্তিনিকেতন, 18 আগস্ট : বিশ্বভারতীতে তাণ্ডব, ভাঙচুরের ঘটনায় CBI তদন্তের দাবি জানাতে চলেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আজ এমনই জানালেন বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকালের ঘটনার প্রতিবাদে 12 ঘণ্টা অনশন করবেন বিশ্বভারতীর কর্মী, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, আধিকারিকরা । তৃণমূল বিধায়ক, কাউন্সিলারদের মদতেই তাণ্ডব চালানো হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে।
ভাঙচুরের ঘটনায় CBI তদন্তের আবেদন করতে চলেছে বিশ্বভারতী - বিশ্বভারতী
ঘটনার প্রতিবাদে 12 ঘণ্টা অনশন করবেন বিশ্বভারতীর কর্মী, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা ও আধিকারিকরা।
![ভাঙচুরের ঘটনায় CBI তদন্তের আবেদন করতে চলেছে বিশ্বভারতী Violence in Visva-Bharati](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/768-512-8468996-912-8468996-1597764262220.jpg)
পৌষমেলার মাঠ পাঁচিল দিয়ে ঘেরার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এর পরেই আন্দোলন-প্রতিবাদ শুরু করেন আশ্রমিক, পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ। পাঁচিল তৈরির কাজে বাধা দেয় বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির লোকজনও। ঠিকাদারকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল। এরই মধ্যে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে কর্মী, অধ্যাপকরা মিছিল করে শান্তিনিকেতন থানার সামনে জড়ো হন । উপাচার্যের নির্দেশে ফের কাজ শুরু হয়। অস্থায়ী ক্যাম্প অফিস বানিয়ে রাতারাতি চলছিল পাঁচিল তৈরির কাজ। এরপর গতকাল কয়েক হাজার মানুষ মিছিল করে এসে তাণ্ডব চালায় বিশ্বভারতীজুড়ে। ভেঙে দেওয়া হয় নির্মাণকাজ, বিশ্বভারতীর অফিস ও পৌষমেলার গেট। আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে তাণ্ডব। নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় তৃণমূল বিধায়ক, কাউন্সিলারদের। থানার সামনে এই ঘটনা ঘটলেও কোনও পুলিশকর্মীকে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ দুবরাজপুরের তৃণমূল বিধায়ক নরেশচন্দ্র বাউড়ি, তৃণমূল কাউন্সিলার ওমর শেখ, সুকান্ত হাজরাসহ বেশ কয়েকজনের নামে শান্তিনিকেতন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে । এঁরাসহ অন্য নেতাদের মদতেই বিশ্বভারতীর সম্পত্তিতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অভিযোগ করলেন জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই ঘটনায় CBI তদন্তের দাবি করতে চলেছে বিশ্বভারতী।