শান্তিনিকেতন, 17 সেপ্টেম্বর : এনআইআরএফ-এ বিশ্বভারতীর শিক্ষার মান কমে যাওয়ায় কর্তৃপক্ষের একাধিক গাফিলতি কার্যত স্বীকার করে নিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ও কর্মসচিব অশোক মাহাত । এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে মান কমে যাওয়ার বিভিন্ন কারণ জানান তাঁরা । তবে এক বছরের মধ্যে মান উন্নয়নের জন্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কী কী করবে তাও বলেন । দীর্ঘদিন নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ, বিদেশি পড়ুয়ার সংখ্যা কমছে, পর্যাপ্ত ছাত্রী নিবাস নেই প্রভৃতি বিষয়কেই তুলে ধরে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ।
দীর্ঘদিন পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী । ছিলেন ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাত ও অধ্যাপক সুধাংশু মাইতি । সম্প্রতি এনআইআরএফ ব়্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান কমেছে । কী কী কারণে এই মান কমেছে ও মান বাড়াতে কী কী পদক্ষেপ করবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ, সেই সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সভাকক্ষে একটি সাংবাদিক বৈঠক করা হয় ।
মান কমে যাওয়ায় কারণ হিসেবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানায়, দীর্ঘদিন বিশ্বভারতীতে বিভিন্ন পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে । পরিসংখ্যান অনুযায়ী 460 পদ শূন্য রয়েছে । 5 বছরে শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সেভাবে হয়নি । এছাড়া, গত তিন বছরে কমেছে বিদেশি পড়ুয়ার সংখ্যা । কমেছে ভিনরাজ্যের পড়ুয়ার সংখ্যাও । বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, পর্যাপ্ত ছাত্রী নিবাস নেই । তার জন্য অনেক ছাত্রী ভর্তি হতে চাইছেন না । 50 শতাংশ ছাত্রী নিবাস থাকা উচিত । 3500 জন পড়ুয়া থাকার মতো ব্যবস্থা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আছে । তার মধ্যে 50 শতাংশ ছাত্রী নিবাস নেই । যেটা থাকা প্রয়োজন ছিল ।
বিশ্বভারতীর মান কমায় নিজেদের গাফিলতি স্বীকার উপাচার্যের আরও পড়ুন,NIRF 2021: দেশের সেরা তালিকায় বিশ্বভারতী 97 নম্বরে, নিন্দার ঝড় সর্বত্র
একইসঙ্গে সংগীত ও কলা এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভবন এনআইআরএফ-এর ব়্যাঙ্কিংয়ে না থাকায় মান কমেছে বলে জানান উপাচার্য । তবে এক বছরের মধ্যে এই সমস্ত কিছু পূরণ করে মানোন্নয়নের বার্তা দেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী । তিনি বলেন, "মান কমার জন্য আমরা নিজেদের মধ্যে পর্যালোচনা করেছি । এই কারণগুলোই আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম । এটা একা আমার দ্বারা তো সম্ভব নয় । সমস্ত বিভাগকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে । আশা করি, পরের বছর আমরা ভাল ফল পাব । মান কমার জন্য কয়েকটি বিষয়ে আমরা নোটিশ করেছি ।"