শান্তিনিকেতন, 9 ডিসেম্বর:ছাত্র আন্দোলনের (Student Agitation) জেরে বিশ্বভারতীর (Visva Bharati University) সমাবর্তন (Convocation) স্থগিত করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ ৷ এদিকে, গত 17 দিন ধরে কার্যত গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakrabarty) ৷ উল্লেখ্য, এবারের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, দেশের অ্য়াটর্নি জেনারেল ও বাংলার রাজ্যপালের ৷ কিন্তু, সেই অনুষ্ঠানই স্থগিত হয়ে যাওয়ায় বেজায় চটেছেন রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ৷ এ নিয়ে টুইটারে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শুভেন্দু ৷ পালটা জবাব দিয়েছে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সংগঠনও ৷
সমাবর্তন নিয়ে 'টুইট যুদ্ধ' ! বিশ্বভারতী প্রসঙ্গে শুভেন্দু টুইটারে লিখেছেন, "শকিং ! বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে তাঁর বাসভবনেই 15 দিন ধরে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে ৷ তার জেরে সমাবর্তন অনুষ্ঠান বাতিল করতে হয়েছে ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য মেনে সমবার্তন অনুষ্ঠানে ভারতের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সম্মানিত করার কথা ছিল ৷" তবে, শুভেন্দু অধিকারী টুইটে সমাবর্তন অনুষ্ঠান বাতিল করার কথা বললেও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তেমন কিছু জানায়নি ৷ তাদের বক্তব্য, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সমাবর্তন স্থগিত রাখা হবে ৷ এছাড়াও, অন্য একটি টুইটে বিশ্বভারতীর আন্দোলনরত পড়ুয়াদের 'তৃণমূলের মদতপুষ্ট গুন্ডা' বলেও আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু ৷
আরও পড়ুন:আন্দোলনে অনড় ছাত্ররা, বিশ্বভারতীর সমাবর্তন স্থগিত রাখল কর্তৃপক্ষ
বিরোধী দলনেতার এমন মন্তব্যের জবাবে মুখ খুলেছেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারাও ৷ তাঁদের বক্তব্য, সোমনাথ সৌ নামে এক তফসিলি ছাত্রের স্নাতক থেকে স্নাতকোত্তরে ভর্তি আটকে দেওয়া হয়েছে ! এছাড়াও, মীনাক্ষী ভট্টাচার্য নামে এক ছাত্রীকে তাঁর গবেষণাপত্র জমা দিতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ উপরন্তু, পৌষমেলা আদৌ হবে কিনা, তা নিয়েও কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ ৷ লাগাতার টালবাহানা করা হচ্ছে ৷ আর এসবের জন্য বর্তমান উপাচার্যকেই দায়ী করছেন পড়ুয়ারা ৷ প্রতিবাদে মঞ্চ বেঁধে চলছে ধর্না ৷
এদিকে, এই বিতর্কের মধ্যেই বিশ্বভারতীর অধ্য়াপক সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি টুইট করা হয় শুক্রবার ৷ সেই টুইট করা হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে উদ্দেশ করে ৷ এবং টুইটটি ট্যাগ করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর দফতর এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে ৷ তাতে লেখা হয়েছে, "সমাবর্তন কারও ব্যক্তিগত বিষয় নয় ৷ এমনকী, উপাচার্যেরও নয় ৷ এই অনুষ্ঠানে পড়ুয়া, অধ্যাপক এবং সংশ্লিষ্ট সকলের যোগদান জরুরি ৷ আগামী 11 ডিসেম্বরের তথাকথিত সমাবর্তন সম্পর্কে আদৌ কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি ৷" প্রশ্ন উঠছে, শুভেন্দুকে উদ্দেশ করে এই টুইট করা হল কেন ? তাহলে কি তাঁর তোলা অভিযোগের জবাব দিতেই এই উদ্যোগ ? নাকি এই টুইট আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের পাশে থাকার বার্তা ? নাকি নেহাতই বিশ্বভারতীর পরিস্থিতি সম্পর্কে সকলকে অবহিত করার চেষ্টা ?