পঞ্চায়েত নির্বাচনে আদিবাসী প্রার্থী নমিতা সোরেনকে হেনস্থার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে মল্লারপুর, 28 জুন: আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন আদিবাসী তরুণী ৷ তাই তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে একঘরে করে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ৷ মুছে দেওয়া হল বিজেপি তরুণী প্রার্থীর দেওয়াল লিখন, প্রচারে গেলে বাধা দেওয়ার অভিযোগও সামনে এসেছে ৷ এমনকী জোর করে পুকুর থেকে মাছও ধরে নেওয়া হচ্ছে ৷ প্রশাসন তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে গোটা বিষয়টি নিয়ে ৷
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমের ময়ূরেশ্বর 1 নম্বর ব্লকের মল্লারপুর 2 নম্বর গ্রামপঞ্চায়েতের 2 নম্বর আসনে ইন্দ্রডাঙ্গাল গ্রামে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ওই আদিবাসী তরুণী নমিতা সোরেন ৷ মল্লারপুরের একটি কলেজে স্নাতক স্তরের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী তিনি ৷ এবারই প্রথম ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন তিনি নির্বাচনে দাঁড়ানো আদিবাসী তরুণী ৷
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতী নিয়ে হামলা বিজেপির, গিতালদহে গুলি চালনার ঘটনায় অভিযোগ উদয়নের
এদিকে ওই আসনে তৃণমূলের প্রার্থী সরস্বতী মুর্মু ৷ অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা গ্রামে ঢুকে সবাইকে শাসিয়ে গিয়েছে ৷ বিজেপি প্রার্থীকে একঘরে করার নিদান দিয়েছে ৷ এই মর্মে বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন বিজেপি প্রার্থী ৷
নমিতা বলেন, "মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকে তৃণমূল প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিয়ে আসছিল ৷ কিন্তু তাদের দাবি মেনে না-নেওয়ায় এবার আমাদের একঘরে করে রেখেছে ৷ আমাদের পুকুরের মাছ ধরে নিচ্ছে ৷ প্রচারে বের হতে দিচ্ছে না ৷ দেওয়াল লিখন মুছে দিচ্ছে ৷ গণতন্ত্রের উৎসবে আমি প্রথম ভোটার ৷ কিন্তু তৃণমূলের অত্যাচারে তিক্ত অভিজ্ঞতা হল ৷ এটা মনে থাকবে ৷"
বিজেপির ময়ূরেশ্বর 1 নম্বর ব্লক মণ্ডল সভাপতি শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তৃণমূল ওই বিজেপি প্রার্থী ও তাঁর পরিবারকে পুকুরে নামতে দিচ্ছে না ৷ পানীয় জল নিতে দিচ্ছে না ৷ তৃণমূল ওই সংসদে হারছে ৷ এটা জানতে পেরেই এইসব কাজকর্ম করছে ৷ তিনি আরও জানান, প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে ৷ প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি নেতা ।
আরও পড়ুন: তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, অভিযোগ আরএসপি কর্মীদের বিরুদ্ধে
তৃণমূল প্রার্থী সরস্বতী মুর্মুর স্বামী জিতু সোরেন অবশ্য এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৷ তিনি বলেন, "বিজেপিরা দেওয়াল লেখেনি ৷ তাই মোছার অভিযোগও ঠিক নয় ৷ প্রচার করার স্বাধীনতা সবার আছে ৷" বিডিও অর্ঘ্য গুহ বলেন, "বিষয়টি দেখার জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে ৷ তাছাড়া আমরা যখন গ্রামে গ্রামে যাব, তখন ওই প্রার্থীর মানসিক আস্থা ফেরানোর চেষ্টা করব ৷"