বীরভূম, 25 জুন : খিদের টানে দুপুরের পর আর মন বসে না ক্লাসে ৷ গরম ভাতের থালা যেন কাছে ডাকে ৷ তার জেরেই বই-খাতা গুটিয়ে বাড়ির পথে ছুট লাগাত পড়ুয়ারা ৷ ফলে আর কী, পড়াশোনার দফারফা ৷ এই স্কুলছুট রুখতেই 1995 সাল থেকে মিড-ডে মিল প্রকল্প চালু করে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি স্কুলগুলিতে দুপুরবেলা পেট ভরে খাবার পেতে শুরু করে পড়ুয়ারা ৷ সেই থেকে একদিকে যেমন কমে স্কুলছুটের সংখ্যা ৷ অন্যদিকে, পেট ভরে খাবার খাওয়ার জন্যও অনেক ছেলে-মেয়ে স্কুলে ভর্তি হতে শুরু করে ৷ ফলে গতি আসে পড়াশোনায় ৷
কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন বন্ধ স্কুল ৷ স্বাভাবিকভাবেই বন্ধ হয়েছে মিড-ডে মিল পরিষেবাও ৷ সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জেরে গৃহবন্দী সকলেই ৷ পড়ুয়াদেরও স্কুলে আসার ক্ষেত্রে জারি রয়েছে সরকারি নিষেধাজ্ঞা ৷ এই অবস্থায় পড়ুয়াদের পুষ্টিকর খাবারের চাহিদা মেটাতে বীরভূম জেলার স্কুলগুলিতে মিড-ডে মিল দেওয়া হচ্ছে অভিভাবকদের ৷
সংক্রমণের আশঙ্কা কমাতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানান বীরভূম জেলার ভারপ্রাপ্ত স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক) সমরেন্দ্রনাথ সাঁতরা ৷ তিনি বলেন, "করোনার শুরু থেকেই সরকারি নির্দেশ, করোনা বিধি মেনে মিড-ডে মিল দিতে হবে ৷ এক্ষেত্রে পড়ুয়াদের অভিভাবকরা স্কুল থেকে মিড-ডে মিল সংগ্রহ করবেন ৷ বীরভূমের 653টি স্কুলে এখন মিড-ডে মিল দেওয়া হচ্ছে ৷ রান্না করা খাবার নয় ৷ যখন যেমন আসে সেই অনুযায়ী তাদের চাল, ডাল, ছোলা ইত্যাদি শুকনো খাবার দেওয়া হয় ৷"