বোলপুর, 17 অক্টোবর:শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসে (TMC) যোগ না-দেওয়ায় দিনের পর দিন এক মহিলাকে হেনস্থা ও শ্লীলতাহানি ! এমনকী তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টার (Molestation and Attempt to Rape) অভিযোগও উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ! অভিযুক্ত জাহাঙ্গির হোসেনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার (TMC Leader Arrested) করেছে পুলিশ ৷ সোমবার ধৃতকে বীরভূমের বোলপুর আদালতে পেশ করা হয় ৷ বিচারক ধৃতকে 14 দিনের জন্য বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী মহিলা বোলপুরেরই বাসিন্দা ৷ এলাকার একটি আবাসনে থাকেন তিনি ৷ তাঁর একটি ছেলে রয়েছে ৷ জাহাঙ্গির হোসেন আগে এই এলাকার কাউন্সিলর ছিলেন ৷ বর্তমানে সেই দায়িত্বে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী ৷ তবে, স্ত্রীর হয়ে কাউন্সিলরের যাবতীয় কাজকর্ম তিনিই করেন ৷
আরও পড়ুন:ধর্ষণের অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে কাঠগড়ায় বারাসত মহিলা থানা, পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে ধৃত অভিযুক্ত
মহিলার দাবি, জাহাঙ্গিরের এলাকায় যথেষ্ট দাপট রয়েছে ৷ সকলেই তাঁকে সমঝে চলে ৷ জাহাঙ্গির একাধিকবার ওই মহিলাকে তৃণমূলে যোগ দিতে বলেন ৷ মহিলা তাঁকে স্পষ্ট জানান, তাঁর রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কোনও আগ্রহ নেই ৷ কিন্তু, তারপরও জাহাঙ্গির তাঁর পিছু ছাড়েননি ৷ বহুবার মহিলার ফ্ল্যাটেও গিয়েছেন তিনি ৷ মহিলা দরজা না খোলায় হাঙ্গামা হয়েছে ৷ এমনকী, মহিলার ছেলের উপস্থিতিতেই জাহাঙ্গির তাঁর শ্লীলতাহানির করেন বলেও অভিযোগ ৷ মহিলার দাবি, এই বিষয়ে একাধিকবার বোলপুর থানায় জানিয়েও কোন লাভ হয়নি ৷
তৃণমূলে যোগ না দেওয়ায় ধর্ষণের চেষ্টা এরপর বোলপুর মহিলা থানার দ্বারস্থ হন ওই মহিলা ৷ জাহাঙ্গির হোসেন-সহ মোট তিনজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ ৷ সোমবার অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন ৷ মামলার সরকারি আইনজীবী ফিরোজ পাল এই প্রসঙ্গে বলেন, "নির্যাতিতার জবানবন্দির ভিত্তিতেই অভিযুক্তের জামিনের আবেদন খারিজ করে তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ৷"