বোলপুর, 12 মে: লাল মাটির রাস্তায় সাইকেল চালাচ্ছেন অমর্ত্য সেন ৷ এমন একটি ছবি পোস্ট করল 'দ্য নোবেল প্রাইজ' কমিটি ৷ টুইটারে কমিটি জানিয়েছে, অর্থনীতিবিদের সাইকেল তাঁর গবেষণায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে ৷ প্রায় 40 বছর আগে বোলপুরে সোনাঝুরির লালমাটির রাস্তা দিয়ে গবেষণার কাজে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন অমর্ত্য সেন ৷ এদিকে শান্তিনিকেতনে নোবেলজয়ীর পৈতৃক বাড়ি 'প্রতীচী'র জমি নিয়ে বিতর্ক চলছে ৷ এমনকী জানুয়ারি মাসে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী দাবি করেন, অমর্ত্য অর্থনীতিতে গবেষণার জন্য নোবেল পাননি ৷ এই তথ্য মিথ্যে ৷
জল ঘোলার মাঝেই অর্থনীতিবিদকে নিয়ে টুইট করল নোবেল প্রাইজ কমিটি ৷ অন্যদের উৎসাহিত করতে সেই ছবি টুইট করে নোবেল প্রাইজ কমিটি ৷ ছবির সঙ্গে লেখে, অমর্ত্য সেন ছোট ছেলে ও মেয়ে সন্তানের মধ্যে পার্থক্য কী তা নিয়ে গবেষণা করেছেন ৷ তাঁর বাইসাইকেলটি এই গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ৷ তাঁর সহকারী, ছোট ছেলেমেয়েদের ওজন নিতে গিয়ে মার খেয়েছিলেন ৷ তারপর অমর্ত্য সেন নিজেই সাইকেল নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের চারদিকে ঘুরে বেড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন ৷ তিনি নিজেই শিশুদের ওজন করার কাজটি শুরু করেন ৷
শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেনের পৈতৃক বাড়ির নাম প্রতীচি ৷ এ নিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর অভিযোগ, অর্থনীতিবিদ বিশ্বভারতীর 0.13 ডেসিমেল অতিরিক্ত জমি দখল করে রেখেছেন ৷ এ নিয়ে তরজার মাঝে জানুয়ারি মাসে তিনি বলেন, "অমর্ত্য সেন নোবেল পুরস্কার পাননি ৷ তিনি নিজেকে নোবেল প্রাপক হিসেবে দাবি করেন ৷" তাঁর যুক্তি অর্থনীতিতে সরাসরি নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় না ৷ তাই তাঁকে সরাসরি নোবেলজয়ী বলা যায় না ৷