লাভপুর, 10 অক্টোবর:1971 সালে সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কারের জন্য নাম প্রস্তাব হয়েছিল গ্রামবাংলার সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Tarasankar Bandyopadhyay)৷ সেই বছরই প্রয়াত হন তিনি । মরণোত্তর নোবেল দেওয়া হয় না, তাই সাহিত্যে দ্বিতীয় নোবেল পদকটি (Nobel laureate) আর ভারতে আসেনি । এতকাল পর সেই তালিকা প্রকাশ করেছে সুইডিশ নোবেল কমিটি ৷ তাতেই একদিকে যেমন আক্ষেপ, অন্যদিকে গর্বিত সাহিত্যিকের পরিবার ও বীরভূমবাসী ৷
1998 সালের 23 জুলাই বীরভূম (Birbhum News) জেলার লাভপুরে জন্মগ্রহণ করেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় । তাঁর কলমে ফুটে ওঠে গ্রামবাংলার নিঁখুত চিত্র থেকে শুরু করে ক্ষয়িষ্ণু জমিদার বাড়িগুলির ইতিহাস । তাঁর লেখা 65টি উপন্যাস, 53টি ছোটগল্প, 12টি নাটক, 4টি প্রবন্ধ-সহ স্মৃতিকথা, ভ্রমণকাহিনী, কাব্যগ্রন্থ বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে । তাঁর প্রখ্যাত উপন্যাস 'হাঁসুলি বাঁকের উপকথা' ৷ আজও সেই হাঁসুলি বাঁক দেখতে যান বহু মানুষ । 'আরোগ্য নিকেতন' উপন্যাসের জন্য 1955 সালে রবীন্দ্র পুরষ্কার, পরে এক এক করে সাহিত্য আকাদেমি, 'গণদেবতা' উপন্যাসের জন্য জ্ঞানপীঠ পুরষ্কার, পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ সম্মান পেয়েছেন ।
1971 সালে সাহিত্য আকাদেমির তৎকালীন সম্পাদক কৃষ্ণ কৃপালনী সাহিত্যে নোবেল পদকের জন্য তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম প্রস্তাব করেছিলেন ৷ সেই বছরই 14 সেপ্টেম্বর প্রয়াত হন প্রখ্যাত সাহিত্যিক । মরণোত্তর নোবেল পদক যেহেতু দেওয়া হয় না, তাই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরে ভারতে সাহিত্যে দ্বিতীয় নোবেল পদকটি আর এল না ৷
এতকাল সুইডিশ নোবেল কমিটি নোবেল প্রাপকদের নাম প্রকাশ করেছে ৷ এ বার যাঁদের নাম মনোনীত হয়েছিল, তাঁদের নামের তালিকাও প্রকাশ করা হয় ৷ তাতেই 51 বছর পর দেখা গেল বীরভূমের লাভপুরের গ্রামবাংলার সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ছিল নোবেল পদকের জন্য ৷ এতে একদিকে যেমন আক্ষেপ রয়েছে সাহিত্যিকের পরিবার থেকে শুরু করে সাহিত্য জগতের মানুষজনের, অন্যদিকে গ্রামবাংলার এই সাহিত্যিককে নিয়ে গর্বিতও সকলে ৷