অভিষেককে চিঠি সিউড়ির 14 জন তৃণমূল কাউন্সিলরের সিউড়ি, 8 জানুয়ারি: খেলার মাঠ দখল করে দোকান ঘর নির্মাণের বিরোধিতা করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) চিঠি দিলেন সিউড়ি পৌরসভার 14 জন কাউন্সিলর । সিউড়ি পৌরসভার চেয়ারম্যান অঞ্জন করের বিরুদ্ধে সরব দলেরই একাংশ । বিষয়টিকে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব হিসেবেই দেখা হচ্ছে ৷
জেলার রাজনৈতিক মহল মনে করছে, পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে জেলার শীর্ষ নেতাদের উপর আস্থা হারিয়ে সরাসরি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিতে হচ্ছে তৃণমূল কাউন্সিলরদের ৷ বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো জল্পনা শুরু হয়েছে । বিষয়টি নিয়ে রবিবার তৃণমূলের জেলা কমিটির বৈঠকেও আলোচনা হয় (Suri TMC Councillors write letter to Abhishek Banerjee) ৷
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে দলের বীরভূম জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন,"আমরা এই খবর শুনেছি । জেলা কমিটিতে আলোচনা হয়েছে । যতক্ষণ না সমস্যার সমাধান হয় আমরা নির্মাণ কাজ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৷ এতে কোন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই ৷" জানা গিয়েছে, 1949 সালে হেতমপুরের রাজা খেলাধুলার জন্য তৎকালীন বীরভূম জেলা শাসকে একটি জায়গা দিয়েছিলেন । সেই জায়গাটি বর্তমানে সিউড়ি পৌরসভার 16 নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত । অভিযোগ, বীরভূম জেলা স্পোর্টস অথারিটির তত্ত্বাবধানে থাকা মাঠটিতে দোকানঘর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে । সিউড়ি পৌরসভার পক্ষ থেকে এখানে 42টি দোকানঘর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে (TMC inner clash in Suri Municipality)।
আরও পড়ুন: তৃণমূল কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে অভিযুক্ত সিপিএম, আগুন জ্বালিয়ে পথ অবরোধ
আর এতেই আপত্তি পৌরসভার কাউন্সিলদের ৷ তাঁদের অন্ধকারে রেখে খেলার মাঠে দোকানঘর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিস্ফোরক চিঠি দিয়েছেন 14 জন কাউন্সিলর (Suri TMC Councillors) । উল্লেখ্য, পদাধিকার বলে এই জেলা স্পোর্টস অথারিটির সভাপতি হলেন খোদ জেলা শাসক ও নির্বাচিত সভাপতি হলেন বিদ্যাসাগর সাউ । তিনি আবার সিউড়ি পৌরসভার (suri municipality) উপ-পৌরপতিও । অর্থাৎ, সিউড়ি পৌরসভার পৌরপতি ও উপ-পৌরপতির বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ দলের অন্যান্য কাউন্সিলরা ৷ খেলার মাঠ দখলের অভিযোগ বীরভূম জেলা কমিটি কাছে বা প্রশাসনের কাছে না করে, সরাসরি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন চিঠি দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে । স্বভাবতই অনেকেই মনে করছে অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে বীরভূমে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসে পড়ছে ৷ আর সেটা তৃণমূলের কাছে সবদিক থেকেই অস্বস্তির।