শান্তিনিকেতন, 22 এপ্রিল : সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে উপাসনা গৃহের বিপরীতে ধর্নায় বসলেন বিশ্বভারতীর এক ছাত্র। প্রসঙ্গত, আন্দোলনের জেরে 3 জন ছাত্রছাত্রীকে তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করেছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, তিন মাস শেষ হবার পর পুনরায় তিন মাসের জন্য তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়। এরই প্রতিবাদে ধর্নায় বসেন এক ছাত্র।
গত 9 জানুয়ারি রাস্তা ফেরতের দাবিতে ছাতিমতলা মৌন অবস্থানে বসেছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী সহ অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, কর্মী ও আধিকারিকদের একাংশ। সেই সময়ে ছাতিমতলার গেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বাম সমর্থক পড়ুয়ারা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল ওই দিন। এর জেরে 3 জন ছাত্রছাত্রীকে তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করেছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন- কাল রাজ্যে আসছেন না মোদি
অভিযোগ, তিন মাস শেষ হওয়ার পর পুনরায় ওই তিন জন ছাত্রছাত্রীকে তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এতে একটা পুরো শিক্ষাবর্ষে পিছিয়ে পড়ছে ওই ছাত্রছাত্রীরা। কোনওরকম বিজ্ঞপ্তি ছাড়া হঠাৎ করে কী কারণে পুনরায় তিন মাস সাসপেন্ড করা হল, তারই প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহের বিপরীতে ধর্নায় বসলেন এক ছাত্র। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও উপাচার্যের বিরুদ্ধে পোস্টার টাঙিয়ে ধরনায় বসে ফাল্গুনী পান নামে এক ছাত্র।
ফাল্গুনী পান বলেন, "তিন মাস সাসপেন্ড করার পরেও আবার তিন মাস সাসপেন্ড করে দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ । কী কারণে আবার তিন মাস সাসপেন্ড করা হল, কোনও সদুত্তর দিচ্ছে না বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এতে আমার ছাত্র জীবন শেষ হয়ে যাবে। সাসপেনশন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আমি ধর্নায় বসে থাকব। উপাচার্যের অগণতান্ত্রিক কিছু সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম। তাই আমাদের সাসপেন্ড করা হয়েছিল।"