ময়ূরেশ্বর, 10 নভেম্বর: বীরভূমের একটি আদিবাসী পাড়ায় 49 জনের শরীরে মিলল স্ক্রাব টাইফাসের হদিশ । পেট ব্যাথা, বমি, বারবার মলত্যাগের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন 50 জনেরও বেশি মানুষ । ইতিমধ্যে মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে দু'জনের । ডায়রিয়ার প্রকোপে এই মৃত্যু বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল । তবে এত মানুষের শরীরে স্ক্রাব টাইফাসের উপস্থিতি মেলায় মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে । মেডিক্যাল টিম এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছে । রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে । স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, 49 জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে স্ক্রাব টাইফাস । যা গোটা আদিবাসী মহল্লায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে । এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা স্বাস্থ্য দফতরের ।
ঘটনাটি বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের 1 নং ব্লকের গাজিপুর আদিবাসী পাড়ার । সেখানেই গত পাঁচদিন ধরে ক্রমশ বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা । প্রথমে আক্রান্তদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা করা হলেও পরে পরিস্থিতির গভীরতা বুঝেছে সকলকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে । রামপুরহাট স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত 56 জনকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে । শুক্রবারও চারজন আক্রান্তকে গ্রাম থেকে হাসপাতালে পাঠিয়েছে এলাকায় থাকা স্বাস্থ্য দফতরের দল ।
রামপুরহাট জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শোভন দে জানিয়েছেন, ‘‘এলাকায় স্বাস্থ্য কর্মীদের টিম রয়েছে । রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে । এমন ঘটনার কারণ কী খতিয়ে দেখা হচ্ছে । তবে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে ।’’
এই ঘটনায় স্বাভাবিভাবেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে গোটা তল্লাটে । ঝিক্ড্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের গাজিপুর আদিবাসী পাড়ায় স্ক্রাব টাইফাসের এমন দাপটে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতরও । গত পাঁচদিন ধরে পেট ব্যাথা, বমির উপসর্গ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা পাড়ায় । তাতেই আক্রান্ত হয়ে গত মঙ্গলবার ও বুধবার মৃত্যু হয়েছে এলাকার বাসিন্দা যথাক্রমে ধাকরুন টুডু ও দুর্গা মুর্মুর ।