বোলপুর, 17 সেপ্টেম্বর: শান্তিনিকেতনের মাথায় নতুন পালক। কবিগুরুর শান্তির-নীড় বা বলা যায় চিরন্তন শান্তি-ভূমি শান্তিনিকেতনকে 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ', অর্থাৎ 'বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী' স্থান হিসাবে স্বীকৃতি দিল ইউনেসকো। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা পেল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন। যেখানে রয়েছে কবিগুরুর স্বপ্নের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ৷ ইতিমধ্যেই টুইট করে 'অভিনন্দন' জানিয়েছে ইউনেসকো ৷ শান্তিনিকেতনের মাথায় এই নয়া মুকুটে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
2010 সালে বিশ্বভারতীকে বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী স্থান বা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকাভুক্ত করার জন্য আবেদন করেছিল কর্তৃপক্ষ। তারপরেও একাধিকবার আবেদন করা হয়েছিল। সেই মতো 2021 সালের 26 অক্টোবর দ্য ইউনাইটেড নেশনস এডুকেশান্যাল সাইন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অরগানাইজেশান (UNESCO)- এর 7 সদস্যের প্রতিনিধি দল এসেছিলেন শান্তিনিকেতনে। সঙ্গে এসেছিলেন ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের আধিকারিকরাও।
বিশ্বভারতী তথা ঐতিহ্যবাহী শান্তিনিকেতন গৃহ, তালধ্বজ, কলাভবন, সঙ্গীতভবন, আম্রকুঞ্জ, রবীন্দ্রভবন, সিংহ সদন, রামকিঙ্কর বেইজের ভাস্কর্য, কালো বাড়ি, উপাসনা গৃহ প্রভৃতি ঘুরে দেখেছিলেন ৷ 3 কোটি টাকা ব্যায়ে সংস্কার করা হয়েছিল বিশ্বভারতীর বিভিন্ন ভবন ও স্থাপত্য, ভাস্কর্যগুলি। সৌদি আরবে 10 সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ইউনেসকোর সমাবেশ। সেখান থেকেই এদিন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভারতী তথা শান্তিনিকেতনকে 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট' তকমা দিল ইউনেসকো।
ইতিমধ্যেই অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও টুইটে 'ইউনেসকোর নতুন শিলালিপি বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী তালিকায় শান্তিনিকেতন, ভারত' লিখে 'অভিনন্দন' জানানো হয়েছে। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা আসায় স্বাভাবিকভাবেই খুশির হাওয়া শান্তিনিকেতনে। তাই এই খবর আসতেই বিশেষ উপাসনার আয়োজন করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এদিন টুইট করে অভিনন্দন জানিয়েছেন মোদি-মমতা ৷