বোলপুর, 11 এপ্রিল: দুর্গাপুজো প্রসঙ্গে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রিপোর্ট তলব করল প্রধানমন্ত্রীর দফতর । ঐতিহ্যবাহী উপাসনা গৃহে বসে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেছিলেন, "দুর্গাপুজো ইংরেজদের পদলেহন করার জন্য শুরু হয়েছিল ৷ দুর্গা মঞ্চে অনেক ধরনের পানীয় পান করার সুযোগ ছিল ।" নিরাকার ব্রহ্ম মন্দিরে বসে উপাচার্যের এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিল শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ।
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনের উপাসনা গৃহের প্রতিষ্ঠাতা । যদিও, উপাসনা গৃহের সম্পূর্ণ নির্মাণ তিনি দেখে যেতে পারেননি । নিরাকার ব্রহ্মের উপাসনা ও সর্বধর্মকে সম্মান, আলোচনার জন্য দ্বার খোলা ছিল ৷ এই উপাসনা গৃহ মহর্ষির তৈরি শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের অন্তর্গত। প্রতি বুধবার সকালে এখানে উপাসনার রেওয়াজ রয়েছে ৷ এছাড়া, বিশেষ উপাসনাও হয় ।
গত 22 ফেব্রুয়ারি এই উপাসনা মন্দিরে বসে কেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বসন্তোৎসব বন্ধ করেছে তার ব্যাখ্যা দেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী । এই ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, "আপনারা জানেন আজ দুর্গাপুজো বিশ্বের একটা অন্যতম পুজো হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে । কিন্তু, দুর্গাপুজোর ইতিহাস যদি দেখেন, এই দুর্গাপুজো শুরু হয়েছিল বৃটিশদের পদলেহন করার জন্য ৷ তৎকালীন রাজাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হত কে ইংরেজ সাহেবদের দুর্গাপুজোর মঞ্চে নিয়ে আসবেন । সেই দুর্গা মঞ্চে অনেক ধরনের অনুষ্ঠান হত ও অনেক ধরনের পানীয় পান করারও সুযোগ থাকত । পরবর্তীতে দুর্গাপুজো একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে যায় । কিন্তু, শুরু হয়েছিল ইংরেজদের পদলেহন করার জন্য ।"