ইলামবাজার, 27 নভেম্বর:প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি, মোট 81 জন পড়ুয়া, একজন শিক্ষিকার কাঁধেই তাদের পড়ানোর ভার । এমনকী, মিড ডে মিলের দেখভালের দায়িত্বও তাঁর । দীর্ঘ 5 বছর ধরে এমনটাই চলে আসছে ইলামবাজারের বারুইপুর বড়াই পাড় শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে(SSK) ।
2003 সালে ইলামবাজার চক্রে বারুইপুর বড়াই পাড় শিশু শিক্ষা কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হয় ৷ সেই থেকে সেখানে সহায়িকা হিসাবে নিযুক্ত রয়েছেন সাবিত্রী সরকার । সঙ্গে মুখ্য সহায়ক হিসাবে আরও একজন ছিলেন ৷ তিনি অবসর নেওয়ার পর থেকে এই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়াদের সব ক'টি বিষয় একাই পড়িয়ে আসছেন সাবিত্রী ৷ শুধু তাই নয়, দীর্ঘ 5 বছর ধরে নিজ কাঁধেই সমস্ত স্কুলের ভার (One teacher running the whole school) ৷
5 বছর ধরে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের সব ভার একজনের কাঁধে যখন বারান্দায় বসে তিনি ক্লাস নেন, তখন অন্য ঘরে এক পড়ুয়াকে নেত্রী বানিয়ে ক্লাস নিতে বলেন ৷ পরে নিজে গিয়ে পড়া ধরেন ৷ এভাবেই কোনওরকমে চলে আসছে পঠন-পাঠন (Insufficient staff) । এর পাশাপাশি, মিড ডে মিল ঠিকঠাক রান্না হল কি না, সেটাও তাঁকেই দেখতে হয় ৷ স্কুলের যাবতীয় হিসাব, নথি সংগ্রহ করে ব্লক অফিসে পাঠানোও তাঁকেই করতে হয় ৷ ক্ষুদে পড়ুয়ারা বলে, "একজন শিক্ষিকাই আমাদের পড়ান ৷ আরও একজন হলে ভালো হতো ৷"
এভাবেই চলে আসছে বারুইপুর বড়াই পাড় শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের পঠনপাঠন আরও পড়ুন:স্কুল চত্বরে নেই সীমানা প্রাচীর, নাগর নদীর পাশে জীবন বাজি রেখে চলছে পঠনপাঠন
প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে জেরবার রাজ্য সরকার । শূন্যপদ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব বিরোধীরা । তার মাঝে শূন্যপদে নিয়োগের দাবি বীরভূমের ইলামবাজারের এই স্কুলে (Teacher Crisis) । বারুইপুর বড়াই পাড় শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের সহায়িকা সাবিত্রী সরকার বলেন, "আমাকে একা হাতেই সব করতে হয় ৷ আরও একজন হলে ভালো হতো ৷ বহুবার আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি ৷ কিন্তু, কোন উত্তর আসেনি ।" এক অভিভাবক মহম্মদ দিলীপ বলেন, "খুব পরিশ্রম করে দিদিমণি ছাত্রছাত্রীদের পড়ান ৷ তাঁকেই সব কাজ করতে হয় ৷ আমরা চাই আরও শিক্ষক-শিক্ষিকা নিযুক্ত হোক । তাহলে সুবিধা হবে ।"