মহম্মদবাজার (বীরভূম), 6 ডিসেম্বর: বীরভূমের মহম্মদবাজার থানার হাবরাপাহাড়ি গ্রামে দুষ্কৃতীর গুলিতে মৃত্যু হল এক খাদানকর্মীর (One man shot dead in Mohammad Bazar) ৷ মৃতের নাম ধানু শেখ ৷ তিনি স্থানীয় একটি পাথর খাদানে কাজ করতেন ৷ ঘটনায় একজন প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক আহত হয়েছেন ৷ ধনা হাঁসদা নামে ওই স্কুল শিক্ষক বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধেয় ধানু শেখ এবং শিক্ষক ধনা হাঁসদা স্থানী একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন ৷ সেই সময় ধনা হাঁসদাকে একজন খবর দেন, তাঁর খোঁজে বাড়িতে এক অচেনা ব্যক্তি এসেছেন ৷ খবর পেয়ে ওই শিক্ষক ধানু শেখকে নিয়েই বাড়িতে যান ৷ বাড়ির কাছে পৌঁছে শিক্ষক দেখেন স্থানীয় ক্লাবের সামনে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছেন ৷ তিনি জানতে চান কেন ওই ব্যক্তি তাঁর বাড়িতে এসেছেন, এনিয়ে দু’জনের মধ্যে তর্কাতর্কিও হয় ৷ সেই কথা কাটাকাটির সময় অপরিচিত ওই ব্যক্তির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন ধানু শেখও ৷
তর্কাতর্কির মাঝেই ওই অপরিচিত ব্যক্তি আগ্নেয়াস্ত্র বের করে ধনা হাঁসদা এবং ধানু শেখকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ৷ ধানু শেখের বুকে গুলি লাগে ৷ গুলি লেগে আহত হন শিক্ষক ধনা হাঁসদাও ৷ তাঁর পিঠের নিচে গুলি লাগে ৷ গুলির শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা সেখানে জড়ো হন ৷ তবে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে অভিযুক্ত ওই দুষ্কৃতী সেখান থেকে পালিয়ে যায় ৷ তাঁদের উদ্ধার করে সিউড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে, ধানু শেখকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন ৷ কিন্তু, ধনা হাঁসদার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয় ৷
মহম্মদবাজারে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু খাদানকর্মীর আরও পড়ুন:বাড়িতেই অস্ত্র কারখানা ! ভাঙড়ে উদ্ধার কাঁড়ি কাঁড়ি বোমা, গুলি, বারুদ
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ ৷ যেখানে গুলি চলেছিল তার থেকে কিছুটা দূরে একটি টর্চ ও সাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷ তদন্তে নেমে পুলিশের অনুমান, আততায়ীকে আগে থেকে চিনতেন আহত ওই শিক্ষক ৷ তা না হলে, অপরিচিত কোনও ব্যক্তির সঙ্গে কেন কেউ তর্কাতর্কি করবেন ৷ এমনকি তাঁর বাড়িতে কেন এসেছেন, এই প্রশ্নই বা কেন করবেন ? পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷